শুভব্রত মুখার্জি: করোনা আবহে অলিম্পিক্স শুরুর আগে সবথেকে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল গেমস ভিলেজে অ্যাথলিটদের জন্য থাকা বিশেষ কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি খাট। যে খাটের নাম দেওয়া হয়েছিল 'অ্যান্টি সেক্স' খাট। কারণ করোনা আবহে ভিলেজেই যাতে অ্যাথলিটরা একে অপরের সাথে যৌন মিলনে আবদ্ধ হয়ে সংক্রমন ছড়ানোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে না দেন সেকথা মাথায় রেখেই বানানো হয়েছিল এই বিশেষ ধরনের খাট। আয়োজকদের দাবি ছিল এই খাট একটি নির্দিষ্ট ওজনের পরে এবং বারবার মুভমেন্টে ভেঙে পড়তে পারে। সেই খাট সত্যিই ভেঙে পড়তে পারে কিনা তা নিয়ে কৌতুহলী হয়ে ওঠেন ইজরায়েলের বেসবলার বেন ওয়েঙ্গার। তিনি এবং তার একাধিক সাথী মিলে এই খাটকে রীতিমতো পরীক্ষার মধ্যে ফেলেন এবং অবশেষে সেই খাট তারা লাইভ ভিডিয়োতে ভেঙে দেখাতে সক্ষম হন। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল।

গেমস ভিলেজে সময় কাটাতে বুদ্ধিটা হঠাৎ করেই ওয়েঙ্গারের মাথাতেই এসেছিল। টোকিওতে আয়োজক শহরে চলছে জরুরি অবস্থা। ফলে ভিলেজের মধ্যেই সময় কাটাতে হচ্ছে। অন্য কোনো দেশ বা ইভেন্টের অ্যাথলেটদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ নেই। আয়োজকদের সব দলকেই নিজেদের রুমে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঘরে আবদ্ধ অবস্থায় বিনোদনের উৎস খুঁজতে ফন্দি আটেন ইজরায়েলের বেসবলার ওয়েঙ্গার।

অলিম্পিক্সের জন্য বিশেষভাবে বানানো বিছানাকেই বিনোদনের উৎস হিসেবে খুঁজে নেন তারা। বেন ওয়েঙ্গারের খেয়াল হয় নিজের টিকটক অ্যাকাউন্টে আলোড়ন ফেলতে হবে। ফল সবাই মিলে ভিলেজের একটা বিছানা ভেঙে দেখার খেলায় মত্ত হন। ভিডিয়োর শুরুতে ওয়েঙ্গার নিজের উদ্দেশ্য জানান ‘অলিম্পিক ভিলেজের বিছানা নিয়ে অনেক প্রশ্ন শুনছি। তাই আমরা সবাই মিলে পরীক্ষা করে দেখব, এই বিছানা ভাঙতে কতজন ইজরায়েলির দরকার।'

ভিডিয়োর শুরুতে নিজেই তিনি নিজের বিছানায় উঠে লাফ দেন। এরপর আরেক অ্যাথলিট আসেন। তখন তারা দুজন মিলে লাফ দেন বিছানার ওপর। এভাবে ধীরে ধীরে সংখ্যাটা বাড়তে থাকে। আটজন মিলে লাফ দেওয়ার পর বিছানার একটি পাশ একটু বেঁকে যায়। ওয়েঙ্গাররা এখানেই থেকে যাননি। নবম সদস্য এসে যোগ দেন বিছানাতে। এই অবস্থায় তিনজন লাফ দেন। তখন বিছানার চার পাশই নিচু হয়ে যায়। এরপরেই ক্ষান্ত হন তাঁরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।