২০০ রানের টার্গেটও যথেষ্ট নয়, এটা উপলব্ধি করেই বোধহয় ইংল্যান্ড নিজেদের ইনিংসকে আরও বড় রূপ দেওয়ার চেষ্টায় মরিয়া হয়। পাকিস্তানের থেকে জয়ের টার্গেট আরও দূরে সরিয়ে নিয়ে যান ব্রিটিশ ব্যাটসম্যানরা। শেষমেশ তাতেই মেলে সাফল্য। করাচিতে সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে পাকিস্তানের ঘাড়ে বিশাল রানের বোঝা চাপিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। সবেধন নীলমণি বাবর-রিজওয়ান জুটি ব্যর্থ হতেই শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের জারিজুরি। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই পাকিস্তান ফেরে হারের সরণিতে।
গত মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৬ উইকেটে পরাজিত হয় পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় পাকিস্তান। এবার শুক্রবার তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে বসেন বাবর আজমরা। ফলে ৭ ম্যাচের সিরজে ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে পাকিস্তান।
আগের দিন রিজওয়ানের ৮৮ ও বাবরের ১১০ রানের সুবাদে ইংল্যান্ডের ১৯৯ রানের বিশাল ইনিংস টপকে ম্য়াচ জিতেছিল পাকিস্তান। ঠিক পরের দিনই ইংল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তানের ঘাড়ে ৩ উইকেটে ২২১ রানের বোঝা চাপিয়ে দেয়। এই ম্যাচে ফিল সল্ট (৮) ও ডেভিড মালান (১৪) সস্তায় আউট হলেও ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালান উইল জ্যাকস, বেন ডাকেট ও হ্যারি ব্রুক।
জ্যাকস ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ বলে ৪০ রান করে আউট হন। ডাকেট ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন। মাত্র ২৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করা ব্রুক শেষমেশ ৩৫ বলে ৮১ রান করে নট-আউট থাকেন। তিনি ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। পাকিস্তানের হয়ে উসমান কাদির ২টি ও মহম্মদ হাসনাইন ১টি উইকেট নেন। ৪ ওভারে ৬২ রান খরচ করেও কোনও পাননি শাহনওয়াজ দাহানি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৮ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি। বাবর ৬ বলে ৮ ও রিজওয়ান ১৪ বলে ৮ রান করে মাঠ ছাড়েন। ৩ রান করেন হায়দার আলি। একা কিছুটা লড়াই চালান শান মাসুদ। তিনি ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এছাড়া ইফতিকার আহমেদ ৬, খুশদিল শাহ ২৯, মহম্মদ নওয়াজ ১৯, উসমান কাদির ০, হ্যারিস রউফ ৪ ও মহম্মদ হাসনাইন ৬ রান করেন। মার্ক উড ২৪ রানে ৩টি উইকেট নেন। ৩২ রানে ২টি উইকেট নেন আদিল রশিদ। ১টি করে উইকেট নেন রীস টপলি ও স্যাম কারান। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন হ্যারি ব্রুক।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ম্যাচের পরে একটা বিষয় আরও একবার প্রতিষ্ঠিত হয় যে, পাকিস্তানের ব্যাটিং নিতান্ত বাবর-রিজওয়ান নির্ভর। দুই ওপেনার সস্তায় ফিরলেই পাকিস্তানের মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। তাই পাকিস্তানকে হারানোর সহজ সমীকরণ খুঁজে পেয়েছে প্রতিপক্ষরা। বাবর-রিজওয়ানকে সস্তায় ফেরালেই কেল্লা ফতে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।