রবিবার রঞ্জি ট্রফিতে বরোদার বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পেল বাংলা। প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫০ রান করে ম্যাচ জেতালেন বাংলার যোদ্ধারা। রঞ্জির প্রথম ম্যাচে ৩৪৯ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলা। এদিনের ম্যাচ জিতে দলের অধিনায়ক অভিমন্যু বললেন, ‘আমাদের ব্যাটিং খুব ভালো হয়েছে। নিজেদের উপর আত্মবিশ্বাস ছিল যে বড় রান তাড়া করে আমরা জিততে পারি। একটা খারাপ দিন যেতেই পারে। বোলাররা ভালো খেলে আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল। নইলে ৪০০-৪৫০ রানও তাড়া করতে হতে পারত। কিন্তু আমরা পরিশ্রম করেছি, নিজেদের উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম যে আমরা পারব।’ বাংলার পরের ম্যাচ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কটকেই। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু সেই ম্যাচ। তবে পরের ম্যাচ নিয়ে এখনই ভাবছেন না বাংলা দলের নেতা অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ম্যাচের পরে তিনি বলেন, ‘পরের ম্যাচ নিয়ে এখনই ভাবছি না। সবাই পরের ম্যাচের আগে তরতাজা হয়ে উঠুক।’
বাংলা দলের কোচ অরুণ লাল শাহবাজের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত উইকেট স্যাঁতসেতে ছিল। মেঘলা আকাশের জন্য ব্যাট করা খুব কঠিন ছিল। শাহবাজ মাথা ঠাণ্ডা রেখে জয় এনে দিল দলকে। আগামী দিনে এই জয়ের ধারা ধরে রাখতে চাই।’ জয়ের পরে বাংলা দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া। তিনি বলেন, ‘তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার মিশেল রয়েছে এই দলে। অভিমন্যু সামনে থেকে দলকে দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দলের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পাবে।’ সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘এই রকম জয় এনে দেওয়ার জন্য দলকে অভিনন্দন।’
দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। উইকেট থেকে সাহায্য পাব সেটা জানতাম। প্রথম ইনিংসে কম রানে আউট হয়ে যাওয়া মানেই সব শেষ নয়। বোলাররা খুব ভাল বল করেছে। ওদের জন্যই লক্ষ্য ৩৪৯ রানের মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব হয়েছিল। ওরা ভাল বল না করলে আরও বড় রান করতে হতে পারত। অভিমন্যু আর সুদীপ ঘরামি ভালো শুরু করেছিল। অনুষ্টুপ ভাল খেলেছে। সবাই খুব নির্ভয়ে খেলেছে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।