২৪ বছরের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে সচিন তেন্ডুলরের ব্যাটিং টেকনিকে দুর্বলতা খুঁজে পাওয়া শুধু কঠিনই নয়, কার্যত অসম্ভব। ফ্রন্ট ফুটে এবং ব্যাক ফুটে সমান স্বচ্ছন্দ ছিলেন তেন্ডুলকর। গতিতে কখনও বিভ্রান্ত করা যায়নি তাঁকে। স্যুইং সামলাতেন নিখুঁতভাবে। স্পিনারদের বিরুদ্ধে মাস্টার ব্লাস্টার কতটা সাবলীল ছিলেন, তার সার্টিফিকেট আগেই দিয়েছেন শেন ওয়ার্ন।
ক'দিন আগেই সচিনকে টেকনিক্যালি নিশ্ছিদ্র ক্রিকেটার হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী অজি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তবে এহেন তেন্ডুলকরও একসময় বুঝেছিলেন নিজের দুর্বলতার কথা।
প্রাক্তন প্রোটিয়া অল-রাউন্ডার শন পোলক জানালেন, একদা সচিন তাঁকে বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় তিনি আর শর্ট পিচড ডেলিভারি ঠিকমতো সামলাতে পারছেন না। পোলক এও জানান, সচিন নিজের খেলা এবং শক্তি-দুর্বলতা এতটাই ভালো বুঝতে পারতেন যে, সেই মতো খামতি ঢাকার উপায় খুঁজে নিতে অসুবিধা হতো না তাঁর।
পোলক বলেন, 'সচিন নিজের খেলা এতটাই ভালো উপলব্ধি করত যে, খামতি ঢাকতে ঠিক কী করতে হবে, সেটা খুঁজে বার করতে বিশেষ অসুবিধা হতো না ওর। একবার অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে যাওয়া প্রসঙ্গে সচিন আমাকে জানিয়েছিল, ও ওখানে আগের মতো শর্ট বল সামলাতে পারছিল না। সেকারণেই স্লিপ ও উইকেটকিপার মাথার উপর দিয়ে বল তুলে দিত।'
বাস্তবিকই কেরিয়ারের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ায় সচিনকে আপার কাট শট খেলতে দেখা গিয়েছে বিস্তর। পরবর্তী সময়ে এই আপার কাট ব্যাটসম্যানদের রান তোলার অন্যতম হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে টি-২০ ক্রিকেটে শর্ট বলের বিরুদ্ধে আপার কাট অত্যন্ত কার্যকরী শট হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন।
পোলক আরও বলেন, ভারত সফরে এলে সচিনকে আউট করার জন্য নির্দিষ্ট কোনও গেম প্ল্যানের বদলে ওঁর ভুল করার অপেক্ষায় থাকত দক্ষিণ আফ্রিকা দল। কারণ, তাঁদের মনে হতো, উপমহাদেশে তেন্ডুলকরকে সহজে আউট করা সম্ভব নয়।