শুভব্রত মুখার্জি
২০১১ সালের একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিশ্চয় সকলের স্মৃতিতে আছে। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত এবং মাহেলা জয়বর্ধনের শ্রীলঙ্কা। সেই ফাইনালে লড়াই করার পরেও হারের মুখ দেখেছিলেন জয়বর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা, তিলকরত্নে দিলশান, মুথিয়া মুরলীধরনের মতো কিংবদন্তি সমৃদ্ধ তারকারা। সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন শ্রীলঙ্কার স্পিনার সুরজ রণদিভও। যিনি এই মুহূর্তে ক্রিকেট থেকে কয়েকশো যোজন দূরে। তিনি নিজের জন্মভূমি, নিজের দেশ শ্রীলঙ্কা ছেড়ে এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। মেলবোর্নের পরিবহন সংস্থা বা বাস কোম্পানি ট্রান্সডেভের হয়ে বাসচালকের চাকরি করছেন তিনি। তিনি এর মাধ্যমেই সংসার চালাচ্ছেন নিজের।
তবে এই কাজটি শুধু রণদিভ নন। তাঁর সঙ্গে এই কাজ করছেন আরও কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার। রণদিভের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার আরেক ক্রিকেটার চিন্থাকা নামাস্তে এবং জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটার ওয়াডিংটন মোয়ায়েঙ্গাও বাস চালান এই কোম্পানির হয়ে। এই তিন ক্রিকেটারের আশা ট্রান্সডেভই নিজেদের ক্রিকেট দল বানাবে ভবিষ্যতে।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে শ্রীলঙ্কার হয়ে রণদিভের ২০০৯ সালে অভিষেক হয়েছিল। ১২ টেস্টে ৪৩, ৩১ একদিনের ম্যাচে ৩৬ এবং সাত টি-টোয়েন্টিত সাতটি উইকেট নিয়েছিলেন এই অফস্পিনার। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়েও খেলেছেন তিনি। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে রণদিভ বল হাতে ৯ ওভারে ৪৩ দিয়েছিলেন। তবে কোনও উইকেট পাননি।
তবে সেই খবর সামনে আসার পর টুইটারে তোপের মুখে পড়েছেন রণদিভ। যিনি ২০১০ সালে একদিনের ম্যাচে জয়ের জন্য এক রান বাকি ছিল। আর ৯৯ রানে ব্যাট করছিলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। কিন্তু নো-বল করেছিলেন রণদীপ। তার জেরে ছক্কা মেরেও শতরান করতে পারেননি। তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন সেহওয়াগ। পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছিলেন রণদীভ। তবে তাঁকে এক ম্যাচের সাসপেনশনের মুখে পড়তে হয়েছিল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।