২০১৯ সালে আইসিসির বিচারে স্পিরিট অফ ক্রিকেট পুরস্কার পেয়েছেন বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপের সময় যে ভাবে স্মিথের বিরুদ্ধে ওঠা স্লোগান বন্ধ করতে আপিল করেছিলেন তিনি, তা জয় করেছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্বের মন। স্মিথের সঙ্গে আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খটাখটি লাগলেও সত্যিকারের স্পোর্টসম্যানের মতো মাঠে স্মিথের পাশে দাঁড়ান তিনি।
আইসিসিকে পুরস্কার পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় কোহলি বলেন যে তিনি কিছুটা অবাক কারণ বছরের পর বছর ধরে ভুল কারণের জন্য তাঁর ওপর আতসকাঁচ থাকত। অতীতে তিনি যে মাঠে কিছু সময় মেজাজ হারিয়েছেন, সেটার প্রসঙ্গে কোহলি বলেন যে ভুল জিনিসের জন্য তার ওপর ফোকাস থাকত। সেখান থেকে আদর্শ আচরণের জন্য পুরস্কার পাওয়ায় তিনি অবাক হয়ে গিয়েছেন বলেই জানান ভারতীয় অধিনায়ক।
অস্ট্রেলিয়ার ভারতে শেষ সিরিজের সময় স্টিভ স্মিথের বিরুদ্ধে ডিআরএস নেওয়ার সময় ড্রেসিং রুমের সাহায্য নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন কোহলি। অভিযোগ অস্বীকার করেন স্মিথ। তখন থেকেই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুই ক্রিকেটারের মধ্যে বৈরিতা। কিন্তু স্যান্ডপেপপার গেটের পর সাসপেনশন কাটিয়ে স্মিথ যখন মাঠে ফিরেছেন, তখন যে বিদ্রুপ, টিটকিরির সম্মুখীন হন অজি ক্রিকেটার, তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন কোহলি।
কেন স্মিথের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন এই বিষয়ে কোহলি বলেন যে অজির মানসিক পরিস্থিত আঁচ করেই তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন। সাধারণত স্লেজিং করতে পিছুপা হননা কোহলি। কিন্তু সাসপেনশন থেকে ফেরা স্মিথকে যেভাবে চিটার বলা হচ্ছিল, সেটা মেনে নিতে পারনেনি ভারতীয় অধিনায়ক। মাঠের দর্শকদের চুপ করতে বলা ছাড়াও স্মিথের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।
একসময় মাঠে মিডল ফিঙ্গার দেখানোয় জরিমানা দিতে হয়েছিল কোহলিকে। সময় বদলেছে, দায়িত্ব বেড়েছে। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির রানের খিদে আগের মতো থাকলেও তিনি এখন অনেকটা সংযত, পরিশীলিত। এই পুরস্কার কোহলির পরিবর্তনের সবচেয়ে বড়ো স্বীকৃতি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।