ক্যাপ্টেন হিসেবে একটা পরিকল্পিত ঝুঁকি নিয়েছিলেন। তাতেই বাজি জেতেন ৯৯-এ। ওয়াসিম আক্রম জানালেন, ফর্মে থাকা সচিন তেন্ডুলকরকে সেদিন থামাতে না পারলে স্মরণীয় জয় থেকে বঞ্চিত হতো পাকিস্তান।
১৯৯৯-এর ভারত সফরে চেন্নাই টেস্টের স্মৃতিচারণ করেন আক্রম। পিঠের চোট নিয়ে সচিন তেন্ডুলকর কার্যত ম্যাচ বার করে নিয়ে যাওয়ার উপক্রম করেছিলেন। দুরন্ত সেঞ্চুরি করা তেন্ডুলকরকে ফেরাতে না পারলে পাকিস্তানের ম্যাচ হারা নিশ্চিত ছিল। ঠিক সেই সময়েই সাকলাইন মুস্তাককে একটি ঝুঁকিপূর্ণ ডেলিভারি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আক্রম।
জানতেন, সেই বলটিতে সচিন ছক্কা হাঁকাতে পারেন। তবে তাতে উইকেট তোলারও সম্ভাবনা ছিল। এমন ঝুঁকির পথে হেঁটেই পাকিস্তান শেষমেশ ১২ রানের উত্তেজক জয় তুলে নেয় চেন্নাই টেস্টে। কারণ, সাকলাইনের সেই বলটিতে সচিন ধরা দিয়েছিলেন আক্রমের হাতেই।
জয়ের জন্য ২৭১ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামা ভারত একসময় ৮২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। সেখান থেকে মোঙ্গিয়াকে সঙ্গে নিয়ে সচিন ভারতের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেন। মোঙ্গিয়াকে ৫২ রানে আউট করেন আক্রম। সচিন ১৩৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরতেই ভারতের প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে।
আক্রম বলেন, 'জয়ের জন্য ভারতের তখন ২০ রানও বাকি নেই। সব ফিল্ডার বাউন্ডারিতে ছিল। শুধু আমি ছিলাম এক্সট্রা কভারে। আমি সাকলাইনকে একটা ফ্লাইটেড দুসরা করতে বলি এটা জেনেও যে, সচিন অনায়াসে বল গ্যালারিতে ফেলতে পারে। জানতাম যে, সচিন মিড উইকেটের উপর দিয়ে শট খেলতে পারে। মিডল-লেগ স্টাম্পে ফুল লেনথ ডেলিভারি করে সাকলাইন। ব্যাটের উপরের কানা নিয়ে বল আমার হাতে চলে আসে। ওটা ছিল রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচ। আমার সব মনে আছে। যেন গত কালই খেলে উঠেছি ম্যাচটা।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।