বাংলা নিউজ > ময়দান > শাস্ত্রী-ভরত অরুণ-শ্রীধরের মধ্যে কি ঝামেলা ছিল? অবশেষে মিলল উত্তর

শাস্ত্রী-ভরত অরুণ-শ্রীধরের মধ্যে কি ঝামেলা ছিল? অবশেষে মিলল উত্তর

রবি শাস্ত্রী-ভরত অরুণ-শ্রীধরের মধ্যে কি মতপার্থক্য ছিল? (ছবি:গেটি ইমেজ)

আর শ্রীধর ভারতীয় দলের ফিল্ডিং স্তরের উন্নতিতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। তৎকালীন প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী এবং বোলিং কোচ ভরত অরুণের সাথে তার মতপার্থক্য ছিল কিনা তা নিয়ে এবার তিনি মুখ খুললেন।

শ্রীধর ছিলেন রবি শাস্ত্রীর নেতৃত্বে ভারতীয় দলের কোচিং সিস্টেমের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর শ্রীধর ভারতীয় দলের ফিল্ডিং স্তরের উন্নতিতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। তৎকালীন প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী এবং বোলিং কোচ ভরত অরুণের সাথে তার মতপার্থক্য ছিল কিনা তা নিয়ে এবার তিনি মুখ খুললেন। তাকে যখন প্রশ্ন করা তাঁর সঙ্গে দলের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী ও ও ভরত অরুণের কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তখন উত্তর দেন শ্রীধর।

ভারতের প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ বলেন, সেরা ফলাফল বা সিদ্ধান্তের জন্য পার্থক্য প্রয়োজন। সাত বছর ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ থাকার পরে শ্রীধর বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে সেরা সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য সমস্ত কোচের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। আমি, রবি ভাই (শাস্ত্রী), ভরত স্যার বা প্রথমে সঞ্জয় (বাঙ্গার) এবং তারপর বিক্রম (রাঠোড়) আমাদের মধ্যে সবসময়ই পার্থক্য ছিল। কিন্তু আমরা সবাই একই লক্ষ্যে কাজ করছিলাম। কখনও দুইজন এতে একমত, কখনও হয় না। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য কোনটি সেরা সেই বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করার পর আমরা একই সিদ্ধান্ত নিতাম। আমরা কখনই অনুভব করিনি যে আমাদের ধারণাগুলি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।’

প্রধান কোচ শাস্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি যে কোনও সময় রবি ভাইকে (শাস্ত্রী) খেলা সম্পর্কিত পরামর্শ দিতে পারেন এবং তিনি তা প্রত্যাখ্যান করবেন না।’ আর শ্রীধর রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে আরও বলেন, ‘তার নেতৃত্বের গুণাবলী এবং চমৎকার মানব ব্যবস্থাপনার দক্ষতা রয়েছে। তার উচ্চতা ছিল বিশাল এবং তিনি খেলোয়াড়দের মানসিকতা খুব ভালোভাবে বুঝতেন।’

বন্ধ করুন