ক্রিকেটের ইতিহাসে মতান্তরে সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান সচিন তেন্ডুলকর। দুই দশকেরও অধিক লম্বা টেস্ট কেরিয়ারে এমন খুব কম ব্যাটিং রেকর্ডই রয়েছে যা তাঁর দখলে নেই। আপাত অর্থে তাঁর ব্যাটিংয়ে কোন দুর্বলতা চিহ্নত করতে তাবড় তাবড় বিশেষজ্ঞদেরও কালঘাম ছুটবে। তবে এক পাকিস্তানি বোলারের বিরুদ্ধেই তিনি বারংবার জব্দ হতেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ জনের বেশি বোলার সচিন তেন্ডুলকরকে নয় বারের বেশি আউট করেছেন। সচিনকে সবচেয়ে বেশি আউট করেছেন ব্রেট লি। তিনি মোট ১৪ বার সচিনকে আউট করেছেন। তার পরে রয়েছেন মুথাইয়া মুরালিধরন এবং গ্লেন ম্যাকগ্রা। তাঁরা ১৩ বার করে মাস্টার ব্লাস্টারক আউট করেছেন। আসলে সচিনকে বিভিন্ন বোলাররা একাধিক বার আউট করার পিছনে বড় কারণ হল বিশাল লম্বা ক্যারিয়ার ছিল সচিনের। প্রায় ২৪ বছর ধরে তিনি ২২ গজ কাঁপিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিরাটই তো হাত টেনে ধরেছিল- IPL-এর বিতর্কিত ঝামেলার সব দায় কোহলির উপর চাপালেন নবীন-উল-হক
তবে পাকিস্তানি ডান-হাতি বোলার আব্দুল রজ্জাকের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ক্রিকেটে মোট ছয়বার আউট হয়েছেন ক্রিকেটের ঈশ্বর। আর ২০০০ থেকে ২০০০৬ সালের মধ্যে প্রতি বারই সচিনের মুখোমুখি হয়েছেন রজ্জাক। আর রজ্জাকের বলে প্রায়শই সচিন এলবিডব্লিউ বা বোল্ড হয়েছেন। এত বছর পেরিয়ে অবশেষে সচিনের বিরুদ্ধে নিজের সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন তিনি।
নাদির আলির পডকাস্টে রজ্জাক বলেছেন, ‘প্রথমত সচিন তেন্ডুলকর একজন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান ছিলেন এবং থাকবেনও। তবে তিনি যে রকম মাপের তারকা ছিলেন এবং তাঁর যে ধরনের ফ্যান ফলোয়িং, তাতে আলাদা করে আমার নাম ( রাজ্জাক একজন টাফ বোলার ছিলেন) নেওয়ার দরকার ছিল না। তিনি যে কারও নাম নিতে পারতেন - গ্লেন ম্যাকগ্রা, ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস, অ্যামব্রোস, ওয়ালশ, মুরালিধরন, শেন ওয়ার্নদের। এটি ছিল ওঁর মহানুভবতা। তিনি আমার জন্য যে শব্দগুলি বেছে নিয়েছেন এবং আমি এটি আগেও বলেছি যে, তিনি খুব দয়ালু ছিলেন। একবার নয়, তিনি এটি বেশ কয়েক বার বলে ছিলেন আমার কথা। এমন কী সেহওয়াগ নাম করেছিলেন আমার।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন বল সুইং করে, তখন সবচেয়ে বড় ব্যাটাররাও সমস্যায় পড়েন। সচিন তেন্ডুলকর ভারতীয় দলের জন্য একজন ওয়ান ম্যান আর্মি ছিলেন। যখনই আমরা ভারতের বিপক্ষে খেলতাম, আমাদের সিনিয়ররা সব সময়ে বলতেন, শচীনের উইকেট নিতে হবে। তাই তিনি সব সময়েই লক্ষ্য ছিল। আসলে, একটা সময় ছিল যখন অস্ট্রেলিয়ার সিবি সিরিজে আমি ওঁকে আউট করেছিলাম।’
রজ্জাক যোগ করেন, ‘যখন সচিন ব্যাট করত, তখন আমাদের (মহম্মদ) আসিফ, (মহম্মদ) সামি এবং আমি ছিলাম। ওরা সবাই যখন তাদের স্পেল শেষ করেছিল, তখন দিনে মাত্র দুই ওভার বাকি ছিল। অধিনায়ক ছিলেন ইউনিস খান ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, আমাকে বল করতে হবে। তেন্ডুলকরের কাছে, আমার মনে এমন কোনও চিন্তা ছিল না তাই মনে মনে বললাম, কি ভাবছে ইউনিস? যখন বল হাতে পেলাম, বুঝতে পারলাম সামনে তেন্ডুলকর। এবং বিশ্বাস করুন, আমি ঠিক জায়গায় বল পিচ করেছিলাম এবং তেন্ডুলকর বোল্ড হয়েছিলেন।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।