৩৩.১ ওভারে ১১৪ রানে ৬ উইকেট, সেখান থেকে ভারত দু'শোর গণ্ডি টপকে আড়াইশো রানের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে, এমনটা ভাবা সত্যিই মুশকিল ছিল। তবে কার্যত অসাধ্য সাধন করে ভারতের হাতে লড়াইয়ের রসদ এনে দেন স্নেহ রানা ও পূজা বস্ত্রকার। সপ্তম উইকেটে রেকর্ড রানের পার্টনারশিপ গড়েন দু'জনে। শুধু ভারতের হয়ে মহিলা বিশ্বকাপেই নয়, বরং মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালীন নজির গড়েন পূজা ও রানা।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূজা আউট হন ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৯ বলে ৬৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে। স্নেহ রানা অপরাজিত থাকেন ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৮ বলে ৫৩ রান করে। ভারত শেষমেশ ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৪ রান তুলে ইনিংস শেষ করে।
পূজা ও রানা সপ্তম উইকেটের জুটিতে ১২২ রান যোগ করেন। ভারতকে বিপর্যয়ের হাত থেকে উদ্ধার করার পথে জুটিতে একাধিক বিশ্বরেকর্ড গড়েন পূজা ও রানা।
১. ভারতের হয়ে মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে সপ্তম উইকেটের জুটিতে এটাই সব থেকে বেশি রানের পার্টনারশিপ। এর আগে ৬ উইকেট পড়ার পরে ভারতের কোনও জুটি ১০০ রান যোগ করতে পারেনি। আগের রেকর্ড ছিল ঝুলন গোস্বামী ও হরমনপ্রীত কউরের নামে। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঝুলন-হরমনপ্রীত জুটি সপ্তম উইকেটে ৭৭ রান যোগ করেছিলেন।
২. মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপে সপ্তম উইকেটের জুটিতে এটাই সব থেকে বেশি রানের পার্টনারশিপ। বিশ্বকাপে ৬ উইকেট পড়ার পরে কোনও দেশের কোনও জুটিই ১০০ রান যোগ করতে পারেনি। আগের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের জেনি গান ও ক্যাথেরিন ব্রান্টের দখলে। ২০১৭ বিশ্বকাপে দু'জনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সপ্তম উইকেটের জুটিতে ৮৫ রান যোগ করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের আসরে সপ্তম উইকেটের জুটিতে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রানা-পূজা।
৩. মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সপ্তম উইকেটে এটাই সব থেকে বেশি রানের পার্টনারশিপের বিশ্বরেকর্ড। আগের রেকর্ড ছিল নিউজিল্যান্ডের নিকোলা ব্রাউন ও সারা সুকিগাওয়ার দখলে। দু'জনে ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সপ্তম উইকেটের জুটিতে ১০৪ রান করে অবিচ্ছেদ্য থাকেন। এছাড়া ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের ড্যানিয়েলে হ্যাজেল ও ন্যাট সিভার সপ্তম উইকেটে ১০৪ রান যোগ করেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।