একসঙ্গে বিভ্রাটের মুখে পড়েছে হোয়্যাটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম। প্রায় দু'ঘণ্টা অতিক্রান্ত হতে চললেও পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। এখনও কাজ হচ্ছে না। সেই পরিস্থিতিতে নেটিজেনরা টুইটারে জড়ো হয়েছেন। সেখানেই নিজেদের মত প্রকাশ করছেন। সেইসঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য মিমও।
এক নেটিজেন আগুন লেগে যাওয়ার একটি ভাইরাল ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে একটি বাচ্চা হাসিমুখে আছে। তাকে টুইটার হিসেবে দেখিয়েছেন। আর আগুন লেগে যাওয়া বাড়ির সামনে যে দু'জন আছেন, তাঁদের ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়্যাটসঅ্যাপ হিসেবে দেখিয়েছেন। একজন আবার উচ্ছ্বাসের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘(হোয়্যাটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ডাউন)। এখন টেলিগ্রাম এবং টুইটারের সদর দফতরের অবস্থা।’ অপর একজন আবার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ ‘এটাই’ করছেন।
সোমবার রাত ন'টার কিছুটা থমকে যায় হোয়্যাটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম পরিষেবা। নেটিজেনদের দাবি, সোমবার রাত ন'টার কিছুটা পর থেকে হোয়্যাটসঅ্যাপে মেসেজ যাচ্ছিল না। ইন্টারনেট ‘অন’ থাকলেও হচ্ছিল না কোনও কাজ। প্রাথমিকভাবে ‘ডাউন ডিটেক্টর’-এর তরফে জানানো হয়, ব্যবহারকারীদের অভিযোগ থেকে মনে হচ্ছে যে হোয়্যাটসঅ্যাপে সমস্যা হয়েছে। ওই সাইটের তথ্য অনুযায়ী, রাত ৯ টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত হোয়্যাটসঅ্যাপ নিয়ে ১৮,৩৩৯ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তারইমধ্যে অনেকেই দাবি করেন, শুধু নয় হোয়্যাটসঅ্যাপ নয়, ব্যাহত হয়েছে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম পরিষেবাও। আপাতত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নেটিজেনদের ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক খুলছে না। অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে পেজ লোড হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, ‘এই সাইটে পৌঁছানো যায়নি (This site can’t be reached)’। ‘ডাউন ডিটেক্টর’ (Downdetector)-এর তথ্য অনুযায়ী, রাত ৯ টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত ফেসবুক নিয়ে ৮৬,৫১৫ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ইনস্টাগ্রামের সেই সংখ্যাটা ৫৩,০৫৬ (রাত ৯ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত)।
সেই বিভ্রাট নিয়ে হোয়্যাটসঅ্যাপের তরফে বলা হয়েছে, ‘আমরা জানি যে কয়েকজন মানুষ বর্তমানে হোয়্যাটসঅ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়ছেন। সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা কাজ করছি এবং যত দ্রুত সম্ভব আপডেট দেব।’ তারপরই ফেসবুকের তরফে বলা হয়েছে, ‘আমরা জানি আমাদের প্রোডাক্ট এবং অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু মানুষ সমস্যায় যে পড়ছেন, তা আমরা জানি। যত দ্রুত সম্ভব পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য আমরা কাজ করছি। যে কোনও রকম বিভ্রাটের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’