মেটার কর্মীদের জন্য বছরের দ্বিতীয়ার্ধটা একটু চাপ হতে পারে। কর্মীদের এমনটাই জানিয়ে দিল ফেসবুকের মালিক সংস্থা। অনলাইন বিজ্ঞাপন ব্যবসা ও দুর্বল অর্থনীতি। দুইয়ের বিরুদ্ধেই বর্তমানে লড়াই করছে সংস্থা।
সংস্থার এক মুখপাত্র সিএনবিসিকে জানান, মেটার চিফ প্রোডাক্ট অফিসাল ক্রিস কক্স সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করেছেন। একি আভ্যন্তরীণ স্মারকলিপিতে তিনি সংস্থার কিছু দ্বিধার জায়গা জানান। কোথায় কোথায় বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে, সেটাও বলেন।
ক্রিস কক্স অনেকটা সংস্থার সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের সুরেই পরিস্থিতির বিবরণ দিয়েছেন। অ্যাপেলের এক বড়সড় প্রাইভেসি আপডেটের পর অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে ফেসবুকের ব্যবসা। ইউজার অ্যাকটিভিটি ট্র্যাকিং, টার্গেটেড অ্যাডভার্টিজিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছে সংস্থা। গত বছর অ্যাপেলের আপডেটের পর থেকেই এ বিষয়ে দিশেহারা মেটা।
ক্রিক কক্স তাঁর মেমোতে কোনও রাখঢাক করেননি। তিনি স্পষ্ট জানান, 'এখন সময়টা বেশ সিরিয়াস। আর এর থেকে খুব সহজে নিষ্পত্তি হবে বলে মনে হচ্ছে না।'
'এমন ধীর বৃদ্ধির পরিস্থিতিতে আমাদের যা-ই করতে হবে, নিঁখুত হতে হবে। ঢালাও বাজেট বা নতুন ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের আশা না করাই ভালো,' বলেন ক্রিক কক্স।
অ্যাপেলের প্রাইভেসি নীতির জেরে গেরোয় মেটা
ফোন, ডিভাইসে ব্রাউজারে ব্যবহারকারী কিছু সার্চ করলেন। পরক্ষণেই ফেসবুক খুললে সেখানে সেই জাতীয় প্রোডাক্টের অ্যাড। এই অভিজ্ঞতা সকলেরই হয়েছে। আসলে এটাই ফেসবুকের অর্থ আয়ের সবচেয়ে সহজ উপায়।
কিন্তু অ্যাপেলের গত বছরের প্রাইভেসি নীতিতে কতটুকু তথ্য শেয়ার হবে, তা স্থির করতে পারেন ব্যবহারকারীরাই। আর তার ফলে টার্গেটেড অ্যাডভার্টিজিংয়ের জায়গাটা স্রেফ উবে গিয়েছে মেটার।
ক্রিক কক্স জানিয়েছেন, আপাতত ইনস্টাগ্রাম রিলসকে তুলে ধরার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন তাঁরা। টিকটকের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী এখন ইনস্টাগ্রাম রিলস।
টিকটকে AI-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কনটেন্টের পছন্দ, প্রবণতা বুঝে নেওয়া হয়। তারপর সেই জাতীয় ভিডিয়োই পর পর রেকমেন্ড করা হয়। সেই একই ধরনের এআই ডেভেলপ করচে চাইছে ইনস্টাগ্রাম।