২০ টাকার চায়ে ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জের টুইট ভাইরাল হতে নড়েচড়ে বসল রেল মন্ত্রক। সূত্রের খবর, ট্রেনে বিক্রি হওয়া খাবারে সার্ভিস ট্যাক্স পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। আগামী ৭ – ১০ দিনের মধ্যে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি টুইট। তাতে IRCTC-র একটি বিলে দেখা যায়, ২০ টাকার চায়ে ৫০ টাকার সার্ভিস চার্জ নিয়েছে রেল। যার ফলে ২০ টাকার চা খেতে ৭০ টাকা মেটাতে হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। রেলের এহেন অদ্ভূত সার্ভিস চার্জ নিয়ে গোটা দেশজুড়ে হাসাহাসি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তোলেন রেস্টুরেন্ট মালিকরা। কারণ তার ঠিক কয়েকদিন আগে কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়, জোর করে অতিথিদের কাছ থেকে কোনও সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারবে না রেস্তোরাঁগুলি। তাঁদের প্রশ্ন, একদিকে সরকার বলছে রেস্তোরাঁগুলি সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না, উলটো দিকে সরকারি সংস্থা রেল যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ টাকার চায়ে ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ আদায় করছে।
দূরপাল্লার ট্রেনের নিয়মিত যাত্রীরা বলছেন, ২০১৮ সাল থেকে গোটা গোলমালের সূত্রপাত। তার আগে রাজধানী ও শতাব্দী এক্সপ্রেসের টিকিটে খাবারের দাম ধরা থাকত। ওই বছর থেকে খাবারের দাম না মিটিয়েও টিকিট কাটার ব্যবস্থা চালু হয়। সেক্ষেত্রে যাত্রীরা বাইরে থেকে খাবার কিনে ট্রেনে উঠতে পারেন বা ট্রেনে IRCTC অনুমোদিত বিক্রেতার কাছ থেকে খাবার কিনতে পারেন। আর এই ধরণের যাত্রীদের জন্য খাবার প্রতি সার্ভিস চার্জ ধার্য হয় ৫০ টাকা। কেউ দুপুর বা রাতের খাবার কিনলেও তাঁকে দিতে হয় অতিরিক্ত ৫০ টাকা। কেউ এক কাপ চা খেলে তাকেও দিয়ে হয় ওই ৫০ টাকাই।
রেল সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে চরম সমালোচনার মুখে পড়ার পর তারা সার্ভিস চার্জ নীতিতে বদল আনতে চলেছে। চা, কফি বা সরবতের মতো পানীয়কে আলাদা শ্রেণিতে ফেলে কম সার্ভিস ট্যাক্স বসাতে চলেছে তারা। এর জেরে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন রেলের কর্তারা। কিন্তু প্রশ্ন হল ৪ বছর ধরে এই উদ্ভট ব্যবস্থা চলছিল কী করে?