Rath yatra 2023: আজও অসম্পূর্ণ জগন্নাথের মূর্তি, কেন? জেনে নিন সেই পৌরাণিক কাহিনি

Updated: 19 Jun 2023, 08:30 PM IST Anamika Mitra

Rath yatra 2023: জগন্নাথ পুরীকে বলা হয় পৃথিবীর বৈকুণ্ঠ। এই স্থানটি শাকক্ষেত্র, নীলাঞ্চল এবং নীলগিরি নামেও পরিচিত। পুরাণ অনুসারে, ভগবান কৃষ্ণ পুরীতে নীলমাধব রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। কেন পুরীর জগন্নাথ মূর্তি আজও অসম্পূর্ণ জেনে নিন এখান থেকে।

1/4জগন্নাথ পুরী ভারতের অন্যতম ধাম। বলা হয়, বাকি তিনটি ধামে গিয়ে শেষে এখানে আসা উচিত। উড়িষ্যা রাজ্যে অবস্থিত পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির হল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধিপতি ভগবান কৃষ্ণকে উৎসর্গ করা বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের একটি বিখ্যাত হিন্দু মন্দির। জগন্নাথ পুরীকে বলা হয় পৃথিবীর বৈকুণ্ঠ। এই স্থানটি শাকক্ষেত্র, নীলাঞ্চল এবং নীলগিরি নামেও পরিচিত। অনেক পুরাণ অনুসারে, ভগবান কৃষ্ণ এখানে নীলমাধব রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ওড়িশায় অবস্থিত এই ধামটিও দ্বারকার মতো সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত।

2/4ভগবান তাঁর বড় ভাই বলভদ্র ও বোন সুভদ্রার সঙ্গে এখানে বাস করেন। তিনটি দেবমূর্তিই কাঠের তৈরি। প্রতি বারো বছর পর এই মূর্তিগুলি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা রয়েছে, পবিত্র গাছের কাঠ থেকে মূর্তিগুলির প্রতিলিপি তৈরি করা হয় এবং একটি বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আবার পবিত্র করা হয়। বেদ অনুসারে, ভগবান হলধর হলেন ঋগ্বেদের রূপ, শ্রী হরি (নৃসিংহ) হলেন সামদেবের রূপ, সুভদ্রা দেবী হলেন যজুর্বেদের রূপ এবং সুদর্শন চক্রকে অথর্ববেদের রূপ বলে মনে করা হয়। শ্রীহরি এখানে দারুময় রূপে বসে আছেন। ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার মূর্তিগুলি মন্দিরের গর্ভগৃহে একটি বেঞ্জাকৃতি পাথরের চূড়ায় স্থাপিত। শ্রী হনুমান চারটি প্রবেশদ্বারে বসে আছেন, যিনি সর্বদা শ্রী জগন্নাথ মন্দির রক্ষা করেন।

3/4কোন কারণে ঈশ্বরের মূর্তিগুলো অসম্পূর্ণ থেকে গেল: শাস্ত্র অনুসারে, বিশ্বকর্মা (বৃদ্ধ ছুতারের আকারে) যখন মূর্তি তৈরি করছিলেন, তখন তিনি রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের সামনে একটি শর্ত রাখেন যে তিনি দরজা বন্ধ করে প্রতিমা তৈরি করবেন এবং মূর্তি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত কেউ প্রবেশ করবে না। দরজা খুললে তারা প্রতিমা তৈরি করা বন্ধ করে দেবে। বন্ধ দরজার ভেতরে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে কি না তা জানতে রাজা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে প্রতিমা তৈরির শব্দ শুনতেন। একদিন রাজা ভিতর থেকে কোন শব্দ না পেয়ে ভাবলেন বিশ্বকর্মা কাজ ছেড়ে চলে গেছেন। রাজা দরজা খুলে দিলেন এবং শর্তানুযায়ী সেখান থেকে বিশ্বকর্মা অদৃশ্য হয়ে গেলেন। ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার মূর্তি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত এখানে একই রূপে বিরাজ করছে প্রতিমা। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)

4/4পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, শ্রী কৃষ্ণের লীলা সময় শেষ হলে তিনি দেহ ত্যাগ করে বৈকুণ্ঠে চলে যান। পাণ্ডবরা তার মৃতদেহ দাহ করেন। কিন্তু এই সময়ে তার নাভি জ্বলতে থাকে। পাণ্ডবরা তার জ্বলন্ত নাভি জলে প্রবাহিত করেছিলেন, তারপর এই নাভি ব্রহ্ম পদার্থে পরিণত হয়েছিল। রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই ব্রহ্ম পদার্থে খুঁজে পেয়ে ভগবান জগন্নাথের মূর্তির ভিতরে স্থাপন করেন, তারপর থেকে এটি সেখানে রয়েছে। বারো বছর পর প্রতিমা বদল হলেও ব্রহ্ম পদার্থ অপরিবর্তিত থাকে। আশ্চর্যের বিষয় হল মন্দিরের পুরোহিতরাও এই ব্রহ্ম পদার্থ কখনও দেখেননি। মূর্তি বদলানোর সময় পুরোহিতের চোখ বেঁধে রাখা হয় এবং হাত কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এই ব্রহ্ম পদার্থ না দেখে এবং স্পর্শ না করেই পুরানো মূর্তি থেকে সরিয়ে নতুন প্রতিমাতে স্থাপন করা হয়, তাদের অনুভূতি অনুসারে এই ব্রহ্ম পদার্থ খুবই নরম। কেউ ব্রহ্ম পদার্থ দেখলে তার জীবন বিপদে পড়তে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়। (PTI Photo)

IPL সব সর্বশেষ খবর এক ক্লিকে আপডেট

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

Rath yatra 2023: আজও অসম্পূর্ণ জগন্নাথের মূর্তি, কেন? জেনে নিন সেই পৌরাণিক কাহিনি

Latest News

Latest IPL News

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি