১৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ২৭ ভাদ্র কৌশিকী অমাবস্যা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টে ৩০ মিনিট থেকে। এই তিথি থাকবে শুক্রবার ভোর ৬ টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত। এই তিথিতে নিশিথকালে তারাপীঠে মা তারার বিশেষ আরাধনা হবে। রয়েছে ভোগের বিশেষ আয়োজন।
1/6 ভাদ্র মাসের অমাবস্যার বিশেষ পূণ্য তিথিতে পালিত হয় কৌশিকী অমাবস্যা। এই বিশেষ তিথিতে মা তারার আরাধনায় নিবেদিত থাকে তীর্থপীঠ তারাপীঠ। উল্লেখ্য, দশমহাবিদ্যার অন্যতম অঙ্গ হল আদ্যাশক্তি, আর সেই আদ্যাশক্তির আরাধনার ক্ষেত্রে এই তিথি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এমন তিথিতে তন্ত্রসাধনা বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। দেখে নেওয়া যাক, ২০২৩ কৌশিকী অমাবস্যা তিথি কতক্ষণ থাকছে।
2/6 কৌশিকী অমাবস্যার তিথি- ১৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ২৭ ভাদ্র কৌশিকী অমাবস্যা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টে ৩০ মিনিট থেকে। এই তিথি থাকবে শুক্রবার ভোর ৬ টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত। এই তিথিতে নিশিথকালে তারাপীঠে মা তারার বিশেষ আরাধনা হবে। রয়েছে ভোগের বিশেষ আয়োজন।
3/6 তারাপীঠের ভোগ রীতি- পোলাও, অন্ন, পাঁচ রকমের ভাজা, সঙ্গে খিচুড়ি, বিভিন্ন তরিতরকারি সহকারে তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যার দিন মা তারাকে ভোগ অর্পণ করা হয়। থাকে কারণবারি ও মাছ। সন্ধ্যায় লুচি, সুজি, ভাজা, বিভিন্ন মিষ্টি সহকারে শীতল ভোগ দেওয়া হয়। নিশিথে খিচুড়ি ও বলিদানের পাঁঠার অংশ দিয়ে ভোগ অর্পণ করা হয়।
4/6 পঞ্জিকা মতে তিথির বিশেষক দিক- পঞ্জিকা অনুযায়ী বারবেলা ৪.০৭ গতে ৫.৩৯ মধ্যে। অমৃত যোগ রাত্রি ১২.৪২ গতে ৩.০৩ মধ্যে। মাহেন্দ্র যোগ দিবা ৭.২১ মধ্যে ও ১০.১৮ গতে ১২.৪৫ মধ্যে। দৃক সিদ্ধান্ত মতে বারবেলা ২.৩৫ গতে অস্তাবধি, অমৃত যোগ রাত্রি ১২.৪৩ গতে, ৩.০৫ মধ্যে। দৃক সিদ্ধান্ত মতে মাহেন্দ্র যোগ দিবা ৭.০৪ মধ্যে পুনঃ ১০.১৯ গতে ১২.৪৫ মধ্যে।
5/6 কৌশিকী অমাবস্যার মাহাত্ম্য- দেবী কৌশিকী হলেন আদ্যাশক্তি মহামায়ার একটি রূপ। তিনি বধ করেছিলেন শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামের দুই অসুরকে। যে অসুরদ্বয় বিশেষ বর পেয়েছিলেন ব্রহ্মার থেকে। সেই বর অনুযায়ী, কোনও অযোনি সম্ভূত নারীশক্তি তাদের বধ করতে পারবে। এদিকে, দক্ষযজ্ঞে শিবের অপমান সহ্য করতে না পেরে দেবী পার্বতী ঝাঁপ দিয়েছিলেন অগ্নিগর্ভে। পরে সরোবরের জলে স্নানের পর তাঁর গা থেকে অগ্নিদগ্ধ কালো কোষ ঝরে যায়।
6/6 কৌশিকী অমাবস্যার দিনে খুলে যায় স্বর্গ ও নরকের দ্বার- সেই কালো কোষ থেকে জন্ম নেন এক দেবী। তিনি কৌশিকী রূপে আবির্ভূত হন। যেহেতু তিনি অযোনি সম্ভূত, তাই তাঁকেই দেবকূল পাঠায় অসুরদমনে। আর এই কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে তিনি বধ করেন শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামের দুই অসুরকে। কথিত রয়েছে, কৌশিকী অমাবস্যার দিনে খুলে যায় স্বর্গ ও নরকের দ্বার। এই রাতের কঠোর তপস্যায় সাধক শুভ ও অশুভ শক্তির অধিকারী হতে পারেন। (এই তথ্য মান্যতা নির্ভর। এর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ) (ছবিটি প্রতীকী)