Kathamrita: কথামৃতে রয়েছে দারুণ সব কাহিনি। কোনও কোনওটা বদলে দিতে পারে জীবন সম্পর্কে ধারণা। পড়ে নিন এখান থেকে।
1/8 রামকৃষ্ণ পরমহংসের বলা কাহিনির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে বিরাট জীবন বোধ এবং অন্তরাত্মাকে জাগানোর কথা। পড়ে নিন, তাঁর বলা এই কাহিনি। এ থেকে জানতে পারবেন মনের মধ্যে যে শক্তি থাকে, তাকে জাগানোই আসল কথা।
2/8 একবার এক মেষপালক তার মেষেদের নিয়ে বনে গিয়েছে। মেষেরা ঘাস খাচ্ছে। হঠাৎ সেখানে এক সিংহী হাজির। সিংহীর ভারী খিদে পেয়েছিল। মেষেদের দেখে সে দিল এক লাফ। কিন্তু তার গর্ভে ছিল সন্তান।
3/8 লাফ দিয়ে সিংহী যখন পড়ল, তার পেটে লাগল চাপ। তাতে তার সন্তানের জন্ম হয়ে গেল। কিন্তু সিংহীটি সেখানেই মারা গেল। এতে মেষপালক আর কী করে? সে ভাবল, সিংহটিকে এখানে ছেড়ে রাখলে সে বড় হয়ে তো এই মেষগুলিকে আক্রমণ করবে, তা সে তাকে পুষবে বলেই সঙ্গে নিয়ে গেল।
4/8 মেষপালকের বাড়িতে সিংহশাবক বড় হয়। সেই মেষের বাচ্চাদের সঙ্গে খেলে। মেষের দুধ খায়। দরকারে সে ঘাসও খায়। এই ভাবেই সে বড় হতে লাগল। একদিন সেই মেষপালকের বাড়িতে এক সিংহ এসে হাজির হল।
5/8 সেই সিংহকে দেখে মেষেরা ভয় পেয়ে ম্যাঁ ম্যাঁ ডেকে দৌড়তে লাগল। সিংহশাবকও তাই করল। সেও ভয়ে দৌড়োতে লাগল। আর সঙ্গে ম্যাঁ ম্যাঁ করে চিৎকার। এতে সিংহটা ভারী অবাক হয়ে গেল। এবং আর সব কিছু ছেড়ে শুধু সিংহশাবককে নিয়ে জঙ্গলে চলে গেল।
6/8 সিংহশাবক ভয়ে আধমরা। সে ম্যাঁ ম্যাঁ করে চিৎকার করেই চলল। সিংহ তখন তাকে বলল, তুই ভয় পাচ্ছিস কেন? তুই তো সিংহ! তুই তো মেষ না। তাতেও সিংহশাবকের ভয় যায় না। তখন সিংহ তাকে জলের ধারে নিয়ে গিয়ে দু’জনের পাশাপাশি ছায়া দেখালো। তাতেও সিংহশাবকের বিশ্বাস হল না।
7/8 তখন সিংহ তাকে মাংস এনে দিল। সে খেতে চাইল না। তাতে সিংহ জোর করে তাকে মাংস খাইয়ে দিল। তাতেই জেগে উঠল সিংহশাবকের অন্তরাত্মা। সে হালুম করে ডাক দিয়ে জঙ্গলে চলে গেল।