হিন্দু ধর্মে সমস্ত পূর্ণিমা তিথিকে বিশেষ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তবে শারদ পূর্ণিমা ২০২২ সমস্ত পূর্ণিমাগুলিতে একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। এ বছর শারদ পূর্ণিমা ৯ অক্টোবর রবিবার। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে রাতে চাঁদ থেকে অমৃত বর্ষণ হয়, তাই রাতে চাঁদের আলোয় ক্ষীর রান্না করে রাখার প্রথা রয়েছে। শারদ পূর্ণিমার দিনে কীভাবে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করবেন জেনে নিন...
শারদীয় পূর্ণিমা তিথি, চাঁদ উঠার সময়
শারদ পূর্ণিমা তারিখ - ৯ অক্টোবর ২০২২
শারদীয় পূর্ণিমার চাঁদ উদিত হওয়ার সময় – সন্ধ্যা ০৫.৫১
পূর্ণিমা তিথি শুরু হয় - ৯ অক্টোবর ২০২২, সকাল ০৩.৪১ থেকে
পূর্ণিমার তারিখ শেষ হয় - অক্টোবর ১০, রাত ০২.২৪
শারদীয় পূর্ণিমা পূজা পদ্ধতি
শারদ পূর্ণিমার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে উপবাসের ব্রত নিন।
এর পরে একটি পবিত্র নদী বা পুকুরে স্নান করুন।
পরিষ্কার পোশাক পরে, আপনার ইস্ট দেবতার পূজা করুন।
পূজার সময় ভগবানকে গন্ধ, অক্ষদ, তাম্বুল, দীপ, ফুল, ধূপ, সুপারি ও দক্ষিণা নিবেদন করুন।
রাতে গরুর দুধ দিয়ে ক্ষীর বানিয়ে মধ্যরাতে ভগবানকে নিবেদন করুন।
রাতে চাঁদের আলোয় একটি পাত্র ভরা ক্ষীর রাখুন এবং পরের দিন তা গ্রহণ করুন।
এই ক্ষীরটি প্রসাদ আকারে সবার মাঝে বিতরণ করুন।
শারদ পূর্ণিমায় এই পদ্ধতিতে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা
ষোড়শপচার পদ্ধতিতে দেবী লক্ষ্মীর পূজার পর 'শ্রীসুক্ত', 'কনকধারা স্তোত্র' পাঠ, বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ বা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের 'মধুরাষ্টকম' পাঠ করলে সৎকর্মের সিদ্ধি পাওয়া যায়, পূজায় মিষ্টি, শুকনো ফল ও ক্ষীর দেওয়া হয়।
শারদ পূর্ণিমা পূজার মন্ত্র
ওম শ্রী হ্রীম শ্রী কমলে কমল্লায়ে প্রসিদ প্রসিদ শ্রীম হ্রীম শ্রী ওম মহালক্ষ্মী নমঃ।
চন্দ্রদোষ থেকে মুক্তি পেতে শারদ পূর্ণিমার দিনে করুন এই উপায়
ক্ষীরে দুধ, চিনি ও ভাত মিশ্রিত হওয়ার কারকও চন্দ্র, তাই তাদের মধ্যে চন্দ্রের প্রভাব সবচেয়ে বেশি থাকে, ফলে যে কোনো ব্যক্তির জন্ম তালিকায় চাঁদ দুর্বল থাকে, মহাদশা-অন্তর্দশা বা প্রত্যন্তর্দশা চলছে বা চন্দ্র ষষ্ঠী, অষ্টমী বা ষষ্ঠ তিথিতে থাকলে দ্বাদশ ঘরে থাকলে চন্দ্রকে ক্ষীর দিয়ে পূজা করার সময় স্ফটিকের মালা দিয়ে 'ওম সোমায়' মন্ত্রটি জপ করুন, এতে চন্দ্রজনিত দোষ থেকে শান্তি পাওয়া যাবে।
(উপরোক্ত তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত)