২১ অক্টোবর থেকে শারোদৎসব শুরু। দুর্গার আগমনের তোড়জোড় তুঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের দুর্গোৎসব ও অন্যান্য রাজ্যের নবরাত্রির উদ্দেশ্য একই, দেবী দুর্গার আরাধনা। নবরাত্রির ৯ দিনে দুর্গার নটি রূপের পুজো করা হয়। শারদীয়া নবরাত্রি অধর্মের উপর ধর্মের বিজয়ের প্রতীক। শারদীয়া নবরাত্রির দশমীর দিনে বিজয়াদশমী পালিত হয়।
আগামিকাল অর্থাৎ ১৫ অক্টোবর প্রতিপদের দিন নবরাত্রির প্রথম পুজো করা হবে। এদিন মা দুর্গার যে রূপের পুজো করা হয়, তার নাম দেবী শৈলপুত্রী। প্রথমে জেনে নেওয়া যাক, তাঁর সম্পর্কে।
শৈলপুত্রী: এই দেবীর দক্ষিণ হস্তে ত্রিশূল আর বাম হস্তে কমল বা পদ্ম রয়েছে। তাই দেবীর অপর নাম শুল ধরিনি। ইনি পূর্ব জন্মে দক্ষ নন্দিনী সতী দেবী ছিলেন । দক্ষের অমতে তিনি শিবকেই বিবাহ করেন। প্রতিশোধে দক্ষ এক শিব হীন যজ্ঞের আয়োজন করেন । বিনা নিমন্ত্রণে সতী দেবী পিত্রালয়ে গিয়ে অনেক অপমানিত হন ও সতী রূপে আবির্ভূত মহামায়া দেহত্যাগ করেন। এরপর ভগবান শিব দক্ষ যজ্ঞ ধ্বংস করেন । এই দেবী মহামায়া পর জন্মে হিমালয় কন্যা পার্বতী রূপে জন্ম নেন । শৈলরাজ হিমালয়ের কন্যা হবার জন্য দেবীর এক নাম শৈলপুত্রী । এবং পরজন্মে তিনি দেবাদিদেব শিবকেই পতি রূপে বরণ করেন । নবরাত্রির প্রথম দিনে মা শৈলপুত্রীর আরাধনা করা হয় । মা শৈলপুত্রীর বাহন বৃষ।
পৌরাণিক মতে দেবী পার্বতীর দুর্গার রূপের নয়টি রূপকে নবদুর্গা নামে অভিহিত করা হয় ৷ এই নয় রূপ হল যথাক্রমে— শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী ৷ প্রত্যেক শরৎকালে নবরাত্রির নয় দিনে প্রতিদিন দেবী পার্বতীর দুর্গা রূপের এই নয় রূপের এক এক দেবীকে পুজো করা হয় ৷ আসলে এই নয়টি রূপের স্বগুন বর্তমান দেবী পার্বতীর দুর্গা রূপের মধ্যে অন্তর্নিহিত হয়ে আসে। এই রূপে দেবী পার্বতী বধ করেছিলেন দুর্গম অসুরকে।
এবার জেনে নেওয়া যাক, আগামিকালের পুজোর সময়বিধি।
প্রতিপদ তিথি শুরু: ১৪ অক্টোবর রাত ১১টা ২৪ মিনিটে
প্রতিপদ তিথি শেষ: ১৬ অক্টোবর রাত ১২টা ৩২ মিনিটে
চিত্রা নক্ষত্র শুরু: ১৪ অক্টোবর বিকেল ৪টে ২৪ মিনিটে
চিত্রা নক্ষত্র শেষ: ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে
আগামী নয় দিন নিয়ম মেনে এভাবেই নব দুর্গার পুজো করা হবে।