1/7 বিজ্ঞানে, গ্রহনকে একটি জ্যোতির্বিদ্যাগত ঘটনা বলে মনে করা হয়। চন্দ্র এবং সৌর উভয় ঘটনাই চাঁদ, পৃথিবী এবং সূর্যের অবস্থানের কারণে ঘটে। ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে একটি অশুভ ঘটনা বলে মনে করা হয়। ২০২৪ সালে দুটি সূর্যগ্রহণ এবং দুটি চন্দ্রগ্রহণ হবে।
2/7 এ বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হবে ২৫ মার্চ। ১৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে। যেখানে ২০২৪ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ ৮ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ ২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, গ্রহনকালে রাহুর প্রকোপ পৃথিবীতে বৃদ্ধি পায়।
4/7 হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। গ্রহনের কুপ্রভাব কমাতে খাবারে তুলসী পাতা যোগ করতে হবে। এটি বিশ্বাস করা হয় যে খাবার এতে অশুদ্ধ হয় না এবং গ্রহণের পরে খাওয়া যেতে পারে। খাবারে তুলসী পাতা যোগ করলে গ্রহনের নেতিবাচক প্রভাব কমে।
5/7 দূর্বা ঘাস গ্রহণের সময়ও ব্যবহার করা যেতে পারে। হিন্দু ধর্মে দূর্বা পুজো ও শুভ কাজে ব্যবহৃত হয়। দূর্বা ঘাস গ্রহণের অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা করে। গ্রহনের আগে খাবার ও জলের পাত্রে দূর্বা রাখা হয়। দূর্বা ঘাস সূর্য থেকে নির্গত ক্ষতিকর এবং নেতিবাচক শক্তি থেকে রক্ষা করে।
6/7 জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গ্রহণের সময় অনেক অশুভ শক্তি জেগে ওঠে। এর কুপ্রভাব এড়াতে মানুষ গ্রহণ কালে দানও করে। তিল গ্রহণের অশুভ প্রভাবও কমায়। গ্রহণের আগে তিল কিনে রাখুন। গ্রহন শেষ হলে স্নান করে পুজো শেষে এই তিল দান করুন কোনও অভাবী ব্যক্তিকে। গ্রহণের পর তিল দান করা শুভ বলে মনে করা হয়। এর কারণে রাহু ও কেতু শান্ত থাকে।
7/7 গ্রহণ কালে গঙ্গা জলের ব্যবহার: সনাতন ধর্মে গঙ্গার জলকে অত্যন্ত পবিত্র ও পুণ্যময় বলে মনে করা হয়। তাই গ্রহণ কালে গঙ্গাজলের ব্যবহার খুবই শুভ। গ্রহনের পর গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করলে গ্রহনের খারাপ প্রভাব কমে যায় এবং নেতিবাচক শক্তিও দূর হয়। গ্রহণ শেষ হলে গঙ্গাজল দিয়ে পুরো ঘর শুদ্ধ করতে হবে।