অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্টা ২২ জানুয়ারী ২০২৪ এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৬ জানুয়ারী থেকে রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে এবং পরের দিন ২৩ জানুয়ারী ২০২৪ থেকে ভক্তরা রামলালার দর্শন করতে পারবেন। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্টা করার কাজটি বিশিষ্ট পণ্ডিত গগাভট্ট ব্রাহ্মণের বংশধররা করবেন। এমতাবস্থায় অধিকাংশ মানুষের মনে নিশ্চয়ই একটা কৌতূহল আছে যে পণ্ডিত গগাভট্ট কে ছিলেন এবং কেন তাঁর বংশধরদের অযোধ্যা রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্টা করার দায়িত্ব দেওয়া হল?
পণ্ডিত গগাভট্ট, যিনি বিশ্বেশ্বর ভট্ট বা গঙ্গা ভট্ট নামেও পরিচিত, তিনি ছিলেন ১৭ শতকের একজন বিখ্যাত ব্রাহ্মণ পণ্ডিত। ব্রাহ্মণ পণ্ডিত গগাভট্ট মূলত বারাণসী থেকে ছিলেন এবং তিনিই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের রাজ্যাভিষেক করে ছিলেন, যিনি মারাঠা সাম্রাজ্যকে শক্তিশালী করেছিলেন। তাঁর বংশধরদের অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্টা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কাশীর প্রখ্যাত পণ্ডিত আচার্য লক্ষ্মীকান্ত মথুরানাথ দীক্ষিতও ১২১ জন আচারিক ব্রাহ্মণদের সঙ্গে সমস্ত আচার অনুষ্ঠান করবেন।
গাগাভট্ট ছিলেন ১৭ শতকে বৈদিক শিক্ষার সর্বশ্রেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ। গাগাভট্ট ছিলেন একজন দেশস্থ ঋগ্বেদী ব্রাহ্মণ। গাগাভট্ট মূলত মহারাষ্ট্রের পৈথান থেকে এবং পরে বারাণসীতে বসতি স্থাপন করেন। তাঁর গোত্র ছিলেন বিশ্বামিত্র এবং গগাভট্টের পিতামহও একজন বিখ্যাত পণ্ডিত ছিলেন এবং স্মৃতি গ্রন্থে অনেক উল্লেখযোগ্য কাজ করেছিলেন।
পণ্ডিত গগাভট্ট যখন শিবাজী মহারাজের রাজ্যাভিষেক করেন, তখন তিনি একটি সোনার পাত্রে দেশের ৭ টি পবিত্র নদীর জল ভরে শিবাজী মহারাজের মাথায় রেখে রাজ্যাভিষেক মন্ত্র উচ্চারণ করেন। পুজোর পর শিবাজী মহারাজ তাঁর পা স্পর্শ করেন।