এর আগে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের ফ্ল্যাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের অফিসে ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা। সিবিআই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সেখানে তল্লাশি চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, কয়েকটি ব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে। সেই ব্যাগের মধ্য়ে রাখা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এরপরই সিবিআই সেই টাকার উৎস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে সিবিআই।
ডোমকলের বিধায়ক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি কলকাতায় রয়েছি। বাড়ির লোকজনকে সবরকম সহযোগিতা করার জন্য় বলেছি। তবে শিক্ষা দুর্নীতির সঙ্গে কোনওভাবেই আমি যুক্ত নই।
তবে সূত্রের খবর, স্থানীয় ব্যাঙ্ক থেকে টাকা গোনার মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে। সেই মেশিন দিয়ে টাকা গোনা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কত টাকা মিলেছে সেটা পরিষ্কার নয়। তবে যেটা জানা যাচ্ছে প্রাথমিকভাবে ২৪ লক্ষ টাকা মিলেছে। এটা জমি বিক্রির টাকা বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে জমি বিক্রির টাকা এভাবে নগদে কেন? তবে কি কিছু ফাঁকি দেওয়ার জন্য় এটা করা হয়েছিল?
শিক্ষা দুর্নীতির অন্য়তম পাণ্ডা বলে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত জাফিকুল ইসলাম। তবে কি শিক্ষা দুর্নীতির টাকা জমা হয়েছিল জাফিকুলের ভান্ডারেও? তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক নিজেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জাফিকুলের একাধিক কলেজ রয়েছে। সেই সব দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রভাব খাটিয়ে তিনি কিছু করছিলেন কি না সেটা দেখা হচ্ছে।
তবে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। মনে করা হচ্ছে দুর্নীতির মামলার তদন্তে ফের আদা জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে সিবিআই। বুধবারই কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর তিনি কলকাতা ছাড়তেই অভিযানে নেমে পড়ল সিবিআই। ডোমকল থেকে কোচবিহার ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলছে অভিযান। কোচবিহারের একটি কলেজে চলছে তল্লাশি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতেও সিবিআই হানা। আবার বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতেও চলছে সিবিআই হানা।