বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ১৪ বছর আগে মৃতও ‘নিলেন’ করোনা টিকা! ‌‌মিলল শংসাপত্র

১৪ বছর আগে মৃতও ‘নিলেন’ করোনা টিকা! ‌‌মিলল শংসাপত্র

১৪ বছর আগে মৃতও নিলেন করোনা টিকা! ‌‌শংসাপত্র বিভ্রাটে প্রশ্ন পরিবারের (ছবি সৌজন্য এপি)

নথির প্রিন্টআউট বার করতে গিয়ে মাথায় হাত পড়ে তাঁর। তিনি জানান, সেখান থেকে মোট চারটি শংসাপত্র বেরিয়ে আসে। এই শংসাপত্র গুলির মধ্যে একটি অমরের বাবা দুলালচন্দ্র মণ্ডলের নামে রয়েছে!

করোনা টিকার শংসাপত্র প্রাণ ফিরিয়ে দিল ১৪ বছর আগে মৃত ব্যক্তির! এক দশক আগে মৃত ব্যক্তিও অংশগ্রহণ করেছেন টিকা কর্মসূচিতে। এমনটাই বলছে টিকার শংসাপত্র। স্বাস্থ্যকর্মীদের এই তৎপরতায় হতবাক টিকা প্রাপ্তের পরিবার। কীভাবে এমনটা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই টিকাপ্রাপ্তের পরিবার। তাদের অভিযোগ, টিকা দেওয়ার পর পাওয়া শংসাপত্রের ভোটার কার্ড নম্বরও ভুল রয়েছে। সে ক্ষেত্রে টিকা জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাটের কবিচন্দ্রপুর গ্রামে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা অমরকুমার মণ্ডলের অভিযোগ, ২০০৭ সালেই বাবা দুলালচন্দ্র মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছে।তিনি জানিয়েছেন, গত ১ এপ্রিল তাঁর মা তোলাবতি মণ্ডল ও স্ত্রী জোৎস্না মণ্ডলকে নিয়ে তিনি গ্রামের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেন। কিন্তু তার মোবাইলে চারটি শংসাপত্র আসে।

অমরবাবু জানিয়েছেন, ওই সময় প্রশংসাপত্র ছাপার প্রয়োজন হয়নি বলে অতটা খেয়াল করেননি তিনি। তবে গত ১৫ মে তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তারিখ পড়েছিল। সেই টিকাগুলি নেওয়ার পর দু’‌টি শংসাপত্র অনলাইনেও পেয়ে যান তিনি। সেই নথির প্রিন্টআউট বার করতে গিয়ে মাথায় হাত পড়ে তাঁর। 

তিনি জানান, সেখান থেকে মোট চারটি শংসাপত্র বেরিয়ে আসে। এই শংসাপত্র গুলির মধ্যে একটি অমরের বাবা দুলালচন্দ্র মণ্ডলের নামে রয়েছে! ওই ব্যক্তির আরও অভিযোগ, তাঁর মা দ্বিতীয় ডোজ নিলেও শংসাপত্রে প্রথম টিকা বলে উল্লেখ রয়েছে। অমর বাবুর প্রশ্ন, আমার বাবা যেখানে ১৪ বছর আগেই মারা গিয়েছেন, সেখানে তাঁকে কীভাবে টিকা দেওয়া হল বুঝতে পারলাম না। বাবা কি স্বর্গে গিয়ে টিকা নিয়েছেন? যদিও এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।

 

বন্ধ করুন