প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে জলপাইগুড়ি থেকে যাত্রা দিল্লিতে। এ কোনও রাজনৈতিক যাত্রা বা স্বপ্ন পূরণের যাত্রা নয়, এ হল দাবি আদায়ের যাত্রা। দেশে প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে চা শ্রমিকদের সমস্যা সুরাহা করতে চেয়েছিলেন জলপাইগুড়ির দুই চা শ্রমিক। স্থানীয় বিজেপি নেতা তাদের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় ওই দুই শ্রমিক নিজেরাই পায়ে হেঁটে জলপাইগুড়ি থেকে দিল্লী পৌঁছেছেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা না হলে তারা ইন্ডিয়া গেটের সামনেই আমরণ অনশন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
‘চা শ্রমিকদের বঞ্চিত করছে তৃণমূল’, অভিযোগে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি জন বার্লার
জলপাইগুড়ির ওদলাবাড়ির দুই আদিবাসী চা শ্রমিক শ্যাম ওঁরাও এবং পিলাতোষ ওঁরাও। তারা চা শ্রমিকদের দুর্দশার অভিযোগ তুলেছেন। তাদের বক্তব্য, দেশ স্বাধীন হলেও এখনও চা শ্রমিকদের অবস্থা বদলায়নি। বছরের পর বছর শাসক দলের বদল হলেও এখনও না কাজের সময় ঠিক আছে না ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছেন তারা। তাই দেশে প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে কোনও রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরেই তারা ভেবেছিলেন যে এবার তারা সেই বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাবেন। সেই জন্য তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জন বার্লা এবং জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ড. জয়ন্ত রায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাদের দেখা করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা তারা রাখেননি বলে অভিযোগ।
গত ২২ অগস্ট তারা দিল্লির উদ্দেশ্যে পথ চলা শুরু করেন। ইতিমধ্যেই তারা দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন। সেখানে জন বার্লার নতুন বাংলোর সামনে একটি ছোট্ট গুমটিতে থাকছেন। তাদের অভিযোগ দুই সংসদ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবেন বলে। কিন্তু তারা সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি। তারা আগামী দুদিন অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছে। তারপরে যদি তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করিয়ে দিতে না পারেন তাহলে ইন্ডিয়া গেটের সামনে তারা আমরণ অনশন শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। তাতে তাদের মৃত্যু হলে তার জন্য সাংসদ জয়ন্ত রায় দায়ী থাকবেন বলেও জানিয়েছেন।