এর আগে বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন পাঁচ মতুয়া বিধায়ক। তাঁদের দেখানো পথে হেঁটেই এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন বাঁকুড়া জেলার চার বিধায়ক। জানা যায়, রবিবার বিজেপি বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেলেন বাঁকুড়ার ৪ বিধায়ক। ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা, সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি, বাঁকুড়া বিধাসভার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা এবং ইন্দাস বিধানসভার বিধায়ক নির্মল ধাড়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গেলেও সংশ্লিষ্ট বিধায়করা গ্রুপ ছাড়ার কথা অস্বীকার করেন।
সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হিসাবে যাঁকে আনা হয়েছে, তাঁকে নিয়ে অসন্তুষ্ট বিধায়করা। এই আবহে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে মাননি ওই চার বিধায়ক৷ বিষয়টিকে দলের অন্দরের ব্যাপার বলেই আপাতত লঘু করে দেখাতে চাইছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব৷ তবে এই ঘটনা রাজ্য বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহের আগুনকে আরও উসকে দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
এর আগে শনিবার বিজেপি'র হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। বিজেপির জেলা ও রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের প্রাধান্য না-দেওয়ায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসা মতুয়া ঘনিষ্ঠ 5 বিজেপি বিধায়কদের রবিবার সকালে তৃণমূলে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা বনগাঁর লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। সন্ধ্যায় তাদেরকে তৃণমূলে আসার বার্তা দেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। এই আবহে বাঁকুড়ার বিধায়কদেরও ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা বিজেপির জন্য বেশ অস্বস্তিকর।