একুশের নির্বাচনের আগে থেকে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়ে মানুষজনকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করতে দেখা গিয়েছিল। সেই কার্ড বিপুল পরিমাণ মানুষ হাতে পেয়েছিলেন। সেই কার্ড চিকিৎসা পরিষেবায় কাজেও লেগেছিল। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠেছে, এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আড়াই হাজারের বেশি টাকা দিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছিলেন এক মহিলা! শুনতে অবার লাগলেও এটাই ঘটেছে বাস্তবে। তবে পরীক্ষা করে দেখা গেল, কার্ডটি ভুয়ো। পশ্চিম বর্ধমান জেলার অণ্ডালের ওই মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? অণ্ডাল থানার পুলিশ জানাচ্ছেন, এই ব্যবসায়ী নানা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও প্রতারণা করেছে। তার নেতৃত্বে একটি চক্র কাজ করছে। সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এই ব্যবসায়ী প্রতারণা করেছে অনেককে। কিন্তু সেভাবে অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ওই মহিলা প্রতারিত হয়ে অভিযোগ করলে ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অণ্ডাল থানা এলাকার উখড়া থেকে দিলীপ বার্নওয়াল নামে ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রীতা বার্নওয়াল নামে মহিলার অভিযোগ, দিলীপের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড কিনেছিলেন তিনি। এমনকী এই কার্ডের জন্য দিলীপকে ২ হাজার ৬০০ টাকাও দেন। কিন্তু উখড়ার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডটি যাচাই করতেই তা ভুয়ো কার্ড বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা হচ্ছে বহু মানুষকে। এমনকী একটি প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ভুয়ো সরকারি ফর্ম–কার্ড তৈরি করে টাকা তুলছে কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি বলে জানিয়েছেন, জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মিনতি হাজরা। তিনি বলেন, ‘রাজ্যবাসীর সুবিধায় বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অসাধু ব্যক্তিরা ভুয়ো কার্ড বানিয়ে মানুষকে প্রতারিত করছে।’