এবার তাজপুর বন্দর নির্মাণের বরাত পেয়ে আদানি গ্রুপের প্রতিনিধিরা প্রস্তাবিত এলাকা পরিদর্শন করলেন। এখানে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি হওয়ার কথা। তাই এদিন সকালে আদানি গ্রুপের তিনজন সদস্য জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর জেলা প্রশাসন, পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম এবং ভূমি দফতরের অফিসারদের সঙ্গে আদানি গ্রুপের কর্মকর্তারা মন্দারমণি গিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন। তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র পেতে আবেদন করেছে আদানি গ্রুপ। সবুজ সংকেত পেলেই প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। এটা ফিল্ড ভিজিট করল আদানি গোষ্ঠী।
আর কী জানা যাচ্ছে? জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রামনগর–২ ব্লকের দাদনপত্রবাড়, দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর এবং অরক বনিয়া মৌজার হাজার একরের মতো জমি আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়া হবে। এই বন্দরের সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ কেমন হবে সেটা ম্যাপে দেখানো হয়। এখন পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র পেলেই কাজ শুরু করবে আদানি গ্রুপ। এখন হলদিয়া বন্দর এলাকায় আদানি গ্রুপের একটি সাইট অফিস আছে। সেখানেও জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। তাজপুরে কাজ শুরুর আগেই একটি সাইট অফিস তৈরি করবে আদানি গ্রুপ। তার জায়গা চিহ্নিত হয়েছে।
এদিকে তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি হলে এখানকার আর্থ–সামাজিক ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন আসবে। রেল এবং সড়কপথে দেশের নানাপ্রান্তের যোগাযোগ বাড়বে। বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হবে। কেন্দ্রীয় সরকার তাজপুর বন্দর নিয়ে উৎসাহ না দেখানোয়, রাজ্য বেসরকারি উদ্যোগে এই বন্দর তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নাব্যতা সমস্যার জন্য হলদিয়া বন্দরে সরাসরি অনেক জাহাজ ঢুকতে পারে না। এমনকী মাঝসমুদ্রে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্যসামগ্রী ওঠানো–নামানো করা হয়। গভীর সমুদ্র বন্দর হলে এই সমস্যা থাকবে না।
অন্যদিকে এই আদানি গ্রুপের গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ এবং পরিদর্শণ নিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক(ভূমি) অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘রামনগর–২ ব্লকের তিনটি মৌজা এলাকার জমি প্রস্তাবিত বন্দরের জন্য প্রয়োজন হবে। তাই একটি ল্যান্ড ম্যাপ তৈরি হয়েছে। আদানি গোষ্ঠীর পক্ষে তিনজন প্রস্তাবিত জমি ঘুরে দেখেছেন। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র মিললেই কাজ শুরু হবে।’