ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে যেখানে দেশজুড়ে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারির খবর কোনও নতুন জিনিস নয়। এরই মধ্যে এক অন্য কথা শোনালেন বাম পরিচালিত শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার। তাঁর দাবি, মহকুমার পরিষদের সভাধিপতি হয়ে তাঁর কয়েক লক্ষ টাকা লোকসান হয়ে গিয়েছে। তাই আর ভোটে লড়তে রাজি নন তিনি।
ভোটে একবার জিততে পারলেই কেল্লা ফলে। দু’হাতে টাকা খরচ করে চার হাতে আয়ের ব্যবস্থা। তাই ভোটের একটা টিকিটের জন্য বিক্ষোভ-মারামারি কীই না দেখতে হয় ভোটারদের। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ অন্য কথা শোনালেন সিপিএম নেতা তাপসবাবু। তাঁর দাবি, চাকরি থেকে অব্যহতি নিয়ে মহকুমা পরিষদের সভাধিপিত হয়ে কয়েক লক্ষ টাকার লোকসান হয়ে গিয়েছে তাঁর। তাই আর ভোটে লড়তে চান না তিনি। আর তাপসবাবু ভোটে লড়বেন না শুনে চোখেমুখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেছে দার্জিলিং জেলা সিপিএম।
সৎ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির তাপসবাবু ২০১৫ সালে চাকরি থেকে অব্যহতি নিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটে দাঁড়ান। ভোটে জিতে সভাধিপতি হন তিনি। কিন্তু মহকুমা পরিষদের সভাধিপতির মাসিক ভাতা অধ্যাপকের মাসিক বেতনের চার ভাগের এক ভাগ মাত্র। দল অন্ত প্রাণ তাপসবাবু সেই ক্ষতি স্বীকার করেই এতদিন দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু এবার আর তাঁর পক্ষে ক্ষতি স্বীকার সম্ভব হচ্ছে না বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজে এবিষয়ে মুখ খোলেননি।
কিছুদিনের মধ্যেই ফুরাবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মেয়াদ। তার পর অবধারিতভাবে সেখানে প্রশাসক বসাবে রাজ্য সরকার। কিন্তু নির্বাচন হলে কে মুখ হবে সেখানে তা নিয়ে এখন মাথার চুল ছেঁড়ার দশা সিপিএমের। দলের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার জানিয়েছেন, ‘মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি হিসাবে তাপসবাবুর কাজ খুবই প্রশংসনীয়। তবে তিনি ভোটে লড়বেন কি না সেব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশিত হলে তা হতে পারে।’