দিন কয়েক আগেই ব্যারাকপুরের ডি বাপির বিরিয়ানির দোকানের সামনে একেবারে হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে যায়। সেদিন এলোপাথারি গুলি চালানো হয়েছিল রাস্তার অন্যদিক থেকে। আর তার সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সেই বিরিয়ানির দোকানের চরম অশান্তি। এদিন দুপুরে আচমকা তিন যুবক ক্রেতা হিসাবেই দোকানে ঢুকেছিল। স্থানীয়দের দাবি কিছুটা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল তারা। দোকানের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তাদের প্রথমে বচসা বাধে। এরপরই দোকানের সামনে কোল্ড ড্রিঙ্কেসের বোতল সাজানো ছিল। এবার ওগুলোই তুলে তারা ছুঁড়তে শুরু করে। দোকানের অন্য়তম মালিক ডলি দাস সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমার ব্যবসা বন্ধ করার জন্য সেদিন দোকানে গুলি চালানো হয়েছিল। আজকের ঘটনার সঙ্গে তার যোগসূত্র থাকতে পারে।
দ্রুত এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। গন্ডগোলের খবর পেয়েই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে। দুজন যুবককে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে অপর এক যুবক কোনওভাবে পালিয়ে যায়। তার খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর তারা দোকান থেকে এক প্যাকেট বিরিয়ানি কিনেছিল। কিন্তু ৩০০ মিলি একটি ঠান্ডা পানীয় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাতেই বাধা দিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। তারপরই শুরু হয়ে যায় গন্ডগোল। অশান্তির সময় মালিক বাপি দাস দোকানেই ছিলেন। তিনিও পুলিশকে খবর দেন।
এদিকে ডি বাপির বিরিয়ানি দোকানকে কেন্দ্র করে বার বার এই দুষ্কৃতী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তবে এদিনের ঘটনার সঙ্গে সেদিনের কোনও যোগ রয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।