ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল। একেবারে ভোজবাজির মতোই ব্যাপার। রিভিউ করতেই হু হু করে বেড়ে গেল নম্বর। উচ্চমাধ্যমিক এক পড়ুয়া আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা সায়ন কর্মকার ইংরেজিতে ৪৪ নম্বর পেয়েছিল। নম্বর কম হওয়ায় সে রিভিউয়ের জন্য় পাঠায়। রিভিউয়ের পরে সে দেখছে তার ইংরেজির নম্বর বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৯১। দ্বিগুণের চেয়েও নম্বর বেড়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, সায়ন সব মিলিয়ে ৩৮১ নম্বর পেয়েছিল। বাংলায় ৭৭, ইংরেজিতে ৪৪, এডুকেশনে ৮৫, ভূগোলে ৯০, ও কম্পিউটার বিষয়ে ৮৫। ইংরেজির নম্বর এত কম কেন তা নিয়ে তার মধ্যে সংশয় দেখা দেয়। এরপর সে রিভিউয়ের জন্য় পাঠায়। ইংরেজিতে রিভিউয়ের পরে দেখা যাচ্ছে ৪৪ নম্বরটি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৯১। অর্থাৎ ৪৭ নম্বর বেড়ে গিয়েছে।
এদিকে শিক্ষক, শিক্ষিকারাও এই ঘটনায় হতবাক। রিভিউ না করলে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এমনকী নম্বর কম পাওয়ার জেরে একাধিক ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়। কিন্তু বাস্তবে কি তারা নম্বর কম পায়? নাকি তার নম্বর দেওযার ক্ষেত্রেই ভুল করে ফেলে পর্ষদ? আর তার জেরে ভেঙে যায় কত পড়ুয়ার স্বপ্ন।
সায়নের অভিভাবকদের দাবি, এত বড় ভুল কীভাবে হতে পারে? আমরা সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকতাম। অর্থের জোর থাকলে আদালতে যেতাম। বাস্তবিকই ইংরেজিতে নম্বর কম থাকায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়েছে সায়ন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এর দায় কার? এত বড় ভুলের পরেও কেন শাস্তি পাবেন না পর্যদের কর্তারা? এই সব প্রশ্নই ঘুরছে এলাকায়।