বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Canning: দীর্ঘদিন ধরে চলছিল মাদকের ব্যবসা, প্রতিবাদ করতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ গৃহবধূকে

Canning: দীর্ঘদিন ধরে চলছিল মাদকের ব্যবসা, প্রতিবাদ করতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ গৃহবধূকে

আক্রান্ত গৃহবধূ। নিজস্ব ছবি।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গৃহবধূ এবং তার ননদ। ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি।

এলাকায় রমরমিয়ে চলছে মাদকের ব্যবসা। আর তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত গৃহবধূ। ব্যাপক মারধর করার পাশাপাশি গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল। রেহাই পাননি গৃহবধূর ননদও। তাকেও মারধর করা হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের তালদি পোল এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গৃহবধু এবং তার ননদ। ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি।

পুলিশ এবং স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত গৃহবধূর নাম রেজিনা সর্দার। দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা চালাচ্ছিল তার প্রতিবেশী মোজাম মোল্লা। বিষয়টি জানার পরে গৃহবধূ এনিয়ে একাধিকবার প্রতিবাদ জানান। অভিযোগ, কয়েকদিন আগে ফের মাদকের ব্যবসা নিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এরপর আজ ফের প্রতিবাদ জানান রেজিনা সর্দার। সেই ঘটনায় আজ সকালে মোজাম মোল্লা এবং তার দলবল গৃহবধূ বাড়িতে চড়াও হয় এবং প্রথমে তাকে হুমকি দেয়। এ নিয়ে গৃহবধূ দুষ্কৃতীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লে তারা গৃহবধূকে মারধর করে। পরে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এদিকে, গৃহবধূকে যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ননদ। তখন দুষ্কৃতীরা তাকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে মাদক কারবারী মোজাম, উরাইয়া এবং আলে মোল্লার বিরুদ্ধে।

এরপর দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে গেলে ওই গৃহববধুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। বর্তমানে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই গৃহবধু। ওই গৃহবধুর স্বামী আইজুল রহমান সর্দার মোজামের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে, ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন ‘এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য বিগত কয়েকমাস আগে এলাকায় মিছিল করেছিলাম। পুলিশকেও জানিয়েছিলাম। কিছুই হয়নি।’

বন্ধ করুন