আদালতের অনুমতির পর প্রাথমিকের ৯,৫৩৩টি পদে শুরু হয়েছে কাউন্সেলিং ও নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া। এবার সেই কাউন্সেলিংয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হল বিজেপি। জলপাইগুড়ি জেলায় ১৩৯টি শূন্যপদে কাউন্সেলিংয়ে তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ। তাদের দাবি, সেজন্য যাদের কাউন্সেলিং আগে হওয়ার কথা ছিল তারা রাত ১২টা পর্যন্ত নিয়োগপত্র হাতে পাননি।
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যু বিড়ালের, কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে তথ্য চাইল হাইকোর্ট
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরে ছিল জেলার ১৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং। এদিন কাউন্সেলিংয়ে যোগদান করেন প্যানেলে নাম থাকা সকলেই। দিন গড়িয়ে রাত হলেও প্যানেলের প্রথম দিকে থাকা প্রার্থীরা নিয়োগপত্র পাননি বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, তৃণমূল ঘনিষ্ঠ নেতাদের জলপাইগুড়ি শহর ও লাগোয়া এলাকার স্কুলগুলিতে নিয়োগপত্র দেওয়ার পর বাকি স্কুলগুলিতে অন্যদের নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে। তাই প্যানেলের ওপরের দিকে নাম থাকলেও অনেকে পছন্দ মতো স্কুলে নিয়োগপত্র পাননি। নিয়োগপত্র পেতে তাদের মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। কাউন্সেলিংয়ে ব্যাপক বেনিয়ম করেছে তৃণমূল। এর পিছনে টাকার খেলাও থাকতে পারে। এই দুর্নীতির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ভুয়ো ডিরেক্টর মামলায় রাত ১০টার পর শুনানি করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কী বললেন?
অপু রায় নামে এক শিক্ষক জানিয়েছেন, আমি বাড়ির কাছের স্কুলে নিয়োগ চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে জানানো হয় সেখানে শূন্যপদ নেই। ফলে অনেক দূরের স্কুলে যোগদান করতে হচ্ছে।
বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, কাউন্সেলিংয়ে কোনও বেনিয়ম হয়নি। সেখানে কোনও তৃণমূল নেতা হাজির ছিলেন না। নিয়োগপত্র দিতে কেন দেরি হয়েছে তা আমরা বলতে পারব না। অহেতুক তৃণমূলকে দোষারোপ করা হচ্ছে।