পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের ফ্ল্যাট থেকে যখন কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল তখন বঙ্গবাসীর কার্যত ভিড়মি খাওয়ার জোগাড়। একজনের ফ্ল্যাটে এত টাকা হতে পারে? এরপর আদি গঙ্গা দিয়ে জল বইতে থাকে। ধরা পড়েন কুন্তল ঘোষ। যুব তৃণমূলের রাজ্য নেতা। তার দুর্নীতিও নাকি আকাশ ছোঁয়া। এবার সিবিআই মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। দুটি মোবাইল নাকি বিধায়ক পুকুরে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। বহু চেষ্টা করে তার মধ্য়ে একটিকে উদ্ধার করতে পেরেছে। কিন্তু পাওয়া যায়নি অপরটি। কিন্তু যা মিলেছে সেটাই নাকি তদন্তের মোড়কে ঘুরিয়ে দিতে পারে।
সূত্রের খবর, দুটি পেন ড্রাইভ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বাড়ি সংলগ্ন ঝোপঝাড় ঘেঁটে ৫টি ব্যাগ মিলেছে। সেখানে বহু নিয়োগ প্রার্থীর নথি মিলেছে বলে খবর। কিন্তু এগুলো জঙ্গলে এল কীভাবে? আসলে মনে করা হচ্ছে সিবিআই তল্লাশি শুরু করতেই আতঙ্কে সব ফেলে দিতে শুরু করেন জীবন কৃষ্ণ। এমনকী ফোন দুটোও জলে ফেলে দেন।
মনে করা হচ্ছে ৩০০০ চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে গড়ে ৬ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে দুর্নীতির অঙ্ক চলে যেতে পারে ৩০০ কোটিতে। অভিযোগ এমনটাই। তবে কি ফের বঙ্গবাসীর জন্য অপেক্ষা করছে আরও বড় বিস্ময়? কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন তিনি মোবাইল দুটি ফেলতে গেলেন? তবে কি আরও বড় কারোর সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ ছিল তাতে? খুঁজে পাওয়া মোবাইল থেকে কি কিছু উদ্ধার করা সম্ভব?
তবে অপর মোবাইলটির হদিশ না মেলায় তদন্ত কতদূর এগোবে তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। তবে হাল ছাড়তে রাজি নন তদন্তকারীরা। এই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে আরও কারা যুক্ত সেটাও দেখা হচ্ছে। তবে তদন্ত যেদিকে এগোচ্ছে তাতে আরও বড় রাঘব বোয়ালের নাম সামনে আসতে পারে। তবে রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ১০০জন তৃণমূল বিধায়ক এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন।
কিন্তু বঙ্গবাসীর প্রশ্ন ,জীবনকৃষ্ণের পরে আর কোন নেতার নাম এবার উঠে আসে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে? তবে যেভাবে কেলেঙ্কারির অঙ্কের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তাতে কে কতটা এগিয়ে থাকে সেটাই এখন দেখার।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup