রিহ্য়াবি সেন্টার নাকি নির্যাতনের কেন্দ্র? এটাই ঠিকঠাক বুঝতে পারছেন না বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার পরিবর্তন ফাউন্ডেশন নামে এই রিহ্যাব সেন্টারকে ঘিরে উঠে গেল অনেক প্রশ্ন। এদিকে ওই সেন্টারে ১৬ বছরের এক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে অনেক কথাই সামনে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ময়ূখ গুহ নামে ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়েছে ।
ওই রিহ্য়াব সেন্টারের এক প্রাক্তন আবাসিক একেবারে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ওই সেন্টারের বিরুদ্ধে। রিহ্যাব সেন্টারের দুই কর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। হোমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও হার্ড ডিস্কও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মৃত কিশোরের পরিবার সূত্রে খবর, তার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।তবে মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছিল ওই কিশোর। এরপর ওই রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করা হয় ওই কিশোরকে। বৃহস্পতিবার অস্বাভাবিক মৃত্য়ু হয় ওই কিশোরের। তার বুকে, পেটেও আঘাত করার দাগ রয়েছে। পুরুষাঙ্গেও আঘাতের দাগ রয়েছে বলে পরিবারের দাবি। এদিকে পুলিশের দাবি কোনও বৈধ নথি ছাড়াই চলছিল ওই সেন্টার। কোনও স্থায়ী চিকিৎসকও ছিল না সেন্টারের।
ঠিক কী হত ওই সেন্টারে? এক প্রাক্তন আবাসিকের কথায়, দিনের পর দিন ধরে ঘরে আটকে রেখে পা ওপরের দিকে আর মাথা নীচের দিকে করে পেটানো হত। খাবারও দিত না। টাকা নিত পরিবারের কাছ থেকে। নানাভাবে টর্চার করা হত। কোনও রকমভাবে বেঁচে ফিরেছি। জানি না, থাকলে হয়তো আমাদেরও ময়ূখের মতো অবস্থা হত।