বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাটেই গৃহপ্রবেশের পুজো ছিল। তা নিয়ে বাড়ির সবাই ব্যস্ত। সেখানে আসা অতিখিদের বাচ্চাদের সঙ্গেই খেলতে ব্যস্ত ছিল ফ্ল্যাট মালিকের ৮ বছরের মেয়ে। তখন আবাসন মোটামুটি ফাঁকাই ছিল। খেলতে খেলতে চারিদিকে চলে যাচ্ছিল বাচ্চারা। এমন সময় অন্বেষা ঘোষ পৌঁছে গিয়েছিল ফায়ার এক্সিটের হাইড্রেনের কাছে। তারপর তারের জালিতে পা দিতেই সোজা নীচে পড়ে। ৯ তলা থেকে একেবারে নীচে পড়ে ছোট্ট মেয়েটি। মহেশতলার ইডেন সিটি আবাসনের এই ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে মহেশতলায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, মহেশতলার এই বহুতল আবাসনে ফ্ল্যাট কিনেছেন সরকারি চাকরিজীবী গৌতম ঘোষ। সেখানেই বৃহস্পতিবার ছিল গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান। কিন্তু গৌতমবাবুর ৮ বছরের মেয়ে অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল। আর লুকোতে গিয়ে ফ্ল্যাটের ফায়ার এক্সিটের গর্তে গিয়ে ঢোকে অন্বেষা। আর সেখান থেকেই পড়ে যায় অন্বেষা। এই ঘটনার পর আবাসন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নির্মাণবিধি না মানা, নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখন শিশুটি সিএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং রেলিং ছিল না বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমনকী রেলিং এবং ফায়ার হাইড্রেনগুলি পাকাপোক্ত ঢাকার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। আগে থেকেই ওই হাইড্রেন কংক্রিটের বাঁধানো ছিল না। কংক্রিট করে দেওয়ার জন্য বারবার কর্তৃপক্ষকে বলাও হয়েছিল বলে আবাসিকদের দাবি। ওই হাইড্রেনে পা দিতেই ৯ তলা থেকে একেবারে নীচে পড়ে যায় শিশুটি। তবে নীচে কয়েকটি প্যাকিং বাক্স থাকায়, সেভাবে রক্তক্ষরণ হয়নি শিশুকন্যার।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? এই আবাসনের বেশ কয়েকজন বাসিন্দাদের অভিযোগ, যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা না নিয়ে এই বহুতল তৈরি হয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকায় ফ্ল্যাটগুলি বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু নতুন ফ্ল্যাটে ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। নিরাপত্তা থাকলে কি ফায়ার এক্সিটের গর্ত দিয়ে ওভাবে পড়ে যায় কোনও শিশু? আবাসন নির্মাণে গাফিলতি রয়েছে।