বাংলা নিজের মেয়েকে চায়—একুশের নির্বাচনে এই বাঙালি অস্মিতা দেখা গিয়েছিল। যার কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল মোদীর গেরুয়া ব্রিগেডকে। এবার আরও একবার তার প্রমাণ মিলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দৌলতে। ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উজ্জ্বলা গ্যাস না পেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ঠিক তার ১০ দিনের মধ্যে ওই বৃদ্ধা পেয়ে গেলেন উজ্জ্বলা গ্যাস। রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান ওই বৃদ্ধা।
ঠিক কী ঘটেছে বৃদ্ধার সঙ্গে? জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া। এখানের পুলসিতা গ্রামে থাকেন বৃদ্ধা মায়ারানি গাঁতাইত। যিনি ২০২০ সালে আবেদন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উজ্জ্বলা যোজনার আওতাভুক্ত গ্যাস সিলিন্ডারের। কিন্তু অভিযোগ, এক বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁর কপালে জোটেনি সংযোগ। ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে গিয়েও লাভ হয়নি। ২৮ সেপ্টেম্বর হঠাৎই তাঁর মোবাইলে এসএমএস আসে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই বৃদ্ধা সেই সংযোগ বাড়িতে পাননি বলেই অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে মায়ারানি দেবী যোগাযোগ করেন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে। সেখানে যাবতীয় ঘটনার বিবরণ দিয়ে আবেদন এবং কাগজপত্র জমা দেন। সেই চিঠি এসে পৌঁছয় মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার হাতে। ওই অভিযোগপত্রকে ‘আর্জেন্ট ম্যাটার’ বলে বিভাগীয় আধিকারিকদের পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দেন স্বয়ং মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
তারপর মন্ত্রীর নির্দেশে আধিকারিকরা বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলেন। আর সংশ্লিষ্ট ওই গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন আধিকারিকরা। তখনই নড়েচড়ে বসেন ওই ডিস্ট্রিবিউটর। মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই ওভেন, সিলিন্ডার–সহ গ্যাস সংযোগ পেয়ে যান তিনি। এই বিষয়ে মায়ারানী দেবী বলেন, ‘রাজ্য সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ। একজন প্রবীণ মানুষের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ আর ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন সবসময় মানুষের পাশে থাকতে। বৃদ্ধার পাশে থেকে দ্রুত সমস্যার সমাধান করে দিতে পেরে আমরাও খুশি।’