কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ফের বাঘের হামলা। মৃত্যু হল মৎস্যজীবীর। মৃত মৎস্যজীবীর নাম পঞ্চু মুন্ডা। শনিবার সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে আচমকাই তার ওপর হামলা করে ডোরাকাটা। তবে পঞ্চু মুন্ডার সঙ্গে থাকা অন্যান্য মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় তাকে জঙ্গলের ভিতরে টেনে নিয়ে যেতে পারেনি বাঘ। দক্ষিণ রায়ের মুখ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পঞ্চুর পরিবারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, পঞ্চু কোস্টাল থানা এলাকার নাগেনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। আর্থিক অনটনের কারণে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবনের জঙ্গলে গিয়েছিলেন কাঁকড়া ধরতে। অনান্য কয়েকজন মৎস্যজীবীও ছিলেন তার সঙ্গে। শনিবার বিকেলের দিকে তারা কাঁকড়া ধরতে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু, ডোরাকাটা যে জঙ্গলে ওত পেতে অপেক্ষা করছিল সে বিষয়টি তাদের নজরে আসেনি।
সামান্য অসচেতন হতেই পঞ্চুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ। এরপরেই তাকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় তার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অন্যান্য মৎস্যজীবীরা। লাঠিসোটা, দা প্রভৃতি নিয়ে তারা বাঘ তাড়ানো চেষ্টা করে। পরে পঞ্চুকে ছেড়ে দিয়ে গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায় বাঘ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কুলতলির জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ইদানিং মৎস্যজীবীদের উপর বাঘের হামলা বেড়ে চলেছে। গত কয়েক মাসে বাঘের হামলায় বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসেই বাঘের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল শংকর সর্দার নামে এক মৎস্যজীবীর। মৃত্যুর পর তার চক্ষু দান করেন পরিবারের সদস্যরা। তবে বাঘের হামলা যেভাবে বেড়ে চলেছে তা নিয়ে মৎস্যজীবীদের সচেতন করছে বনবিভাগ।