উদ্ধার হওয়া ব্যালট বাক্সগুলি।
ভোটের দিন ভোর ছ’টাতেই বুথ দখল করে নিয়েছিল তৃণমূল। ভোট মেটার মাসখানেক পর সেই বুথের পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার হল ৪টে ব্যালট বাক্স। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বকুলতলা এলাকায় একটি বুথের পাশ থেকে ৩টি ব্যালট বাক্স উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয়েছে ছাপ দেওয়া ব্যালটও। স্থানীয়দের দাবি, ওই বুথে পুনর্নির্বাচন হলেও অনেকেই তখন ঘরছাড়া ছিল। এক তরফা ভাবে পুনর্নির্বাচন করিয়েছে তৃণমূল।
শনিবার জয়নগর বিধানসভার অন্তর্গত বকুলতলা ময়দা বটতলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি পুকুরের ব্যালট পেপার ভাসতে দেখে গ্রামবাসীরা। এরপর পুকুরে জাল দেয়া হয়, পুকুরে জাল দেওয়ার পর অবাক গ্রামবাসীরা। এক দু’টো নয় চার চারটে ব্যালট বক্স উদ্ধার হয় ওই পুকুর থেকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ৮ জুলাই ভোট পর্ব চলাকালীন জয়নগর বিধানসভা বকুলতলা থানার অন্তর্গত ময়দা বটতলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ময়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪১, ১৪৩ও ১৪৪ নম্বর বুথের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়। ভোট শুরুর আগেই শাসক - বিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বোমাবাজি ও স্কুলে ভাংচুর শুরু করে দুষ্কৃতীরা। পালটা ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে দেন স্থানীয়রা। এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ১০ তারিখ সেখানে পুনর্নির্বাচন হয়।
এলাকার বাসিন্দাকৃষ্ণ দাস নস্কর জানান, ‘আমি প্রতিদিনের মতোই কাজে যাচ্ছিলাম। দেখলাম স্কুলের সামনের পুকুরে এক ব্যক্তির একটি ব্যালট বাক্স উঠেছে। এরপর একে একে চারটি ব্যালট বক্স উঠে আসে পুকুর থেকে। ভোটের সময় যে দুষ্কৃতী তাণ্ডব চলেছে গোটা এলাকায় এটা তারই ফলস্বরূপ। এলাকায় অশান্তি যেন অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বকুলতলা থানার পুলিশ পৌঁছে চারটি ব্যালট বক্স উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুকুরের মধ্যে কিভাবে ব্যালট বক্স এলো তা তদন্ত শুরু করেছে বকুলতলা থানার পুলিশ।