রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের নীচে থাকলেও কলকাতায় করোনা পরিস্থিতি চিন্তায় রাখছে প্রশাসনকে। পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের করোনা পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়, সেজন্য সতর্ক প্রশাসন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পেশ করা বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮২ জন। তবে কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ জন। এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে ৫৯ জন। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪ জন, যা কলকাতার থেকেও বেশি। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম, ৪৪ জন। পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০২ জন।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলায় বিভিন্ন জায়গায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ওই সব এলাকায় আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি থাকবে। আগে বুধবার পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি রাখার কথা বলা হয়েছিল। পরে পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, খড়গপুর ও মেদিনীপুর পুর এলাকায় সবটাই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে। কিন্তু পরে নির্দেশিকায় বদল এনে বলা হয়, পুর এলাকায় সবটা নয়, যে সব ওয়ার্ডে সংক্রমণের মাত্রা বেশি, সেখানে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, যে সব এলাকা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে, সেখানে সরকারি ও বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। সেখানকার বাসিন্দারা বাইরে কোথাও অফিসে যেতে পারবেন না।