ফের বিজেপিতে ধরল ভাঙন। আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুরের পর এবার দক্ষিণ দিনাজপুরে গেরুয়া শিবিরে ধরল ভাঙন। এবার তপন ব্লকের ১০ নম্বর মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের। পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ৪ জন সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় তৃণমূল।
এদিন জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের উপস্থিতিতে বিজেপি থেকে তৃণমূলে একাধিক কর্মী-সমর্থকরা যোগদান করে। শুধু তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যরাই নন, বিজেপি ও আরএসপি ছেড়ে শতাধিক মানুষ তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের ওপর আস্থা রেখে এরা তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছেন। পঞ্চায়েতে যে বিজেপি নেতারা পরিচালনা করতেন, তাঁরা সবাই এখন তৃণমূলে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল আরও শক্তিশালী হবে।’ জানা গিয়েছে, এই মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ১২ জন। এরমধ্যে বিজেপি এর আগে ৯টি আসনে জয়ী হয়ে বোর্ড গঠন করেছিল। কিন্তু বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের কাছে শোচনীয় হার স্বীকারের পর বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন ৪ জন। এরপর এদিন আরও ৪ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এরফলে এখন ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মোট সদস্য সংখ্যা ১১ জন। ফলে এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাতে চলে এসেছে।|
এদিনের যোগদান অনু্ষ্ঠানে রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গঙ্গারামপুর পুরসভার প্রশাসক প্রশান্ত মিত্র, তপন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজু দাস-সহ ব্লক ও অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–নেত্রীরা। এর আগে আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে অসংখ্য বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, গত বিধানসভায় যেখানে বিজেপি ভাল ফল করেছে, সেই রায়গঞ্জ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতে বহু বিজেপি কর্মী গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।