বুধবার মালদহ জেলায় প্রশাসনিক সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই প্রশাসনিক সভায় আমন্ত্রণ পেলেন না বিজেপির বিধায়করা। আর তাতেই তাঁরা বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন। এই জেলা থেকে বিজেপির চার নির্বাচিত বিধায়ক আমন্ত্রণ পাননি বলেই খবর। এখানে আমন্ত্রণ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হযে তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানালেন ইংরাজবাজার বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
তিনি বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি। বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুধবার জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে শাসকদলের বিধায়কদের ডাকা হল। কিন্তু বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয়নি। অন্য দল করি এটাই কী আমাদের অপরাধ?’
আর কী বলেছেন বিজেপি বিধায়ক? মুখ্যমন্ত্রী যখন কর্ণজোড়ার সভায় একের পর এক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করছেন তখন প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক না পাওয়া নিয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘বিধায়কদের থাকা উচিত এবং তাঁদের বিভিন্ন এলাকার সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলা উচিত। কিন্তু সেখানে আমরা বিজেপি করি সেই অপরাধে আমাদের বিধায়কদের এই প্রশাসনিক বৈঠকের আমন্ত্রণ করা হয়নি। আমরা মনে করি বৈঠকে আমাদের না ডাকা মানে আমাদের পাশাপাশি এলাকার জনগণদের অপমান করা।’
উল্লেখ্য, এখানে সাত–আট মাস আগেই এসেছিল মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে। আর বলেছিলেন, ‘মালদহ বারবার আমাদের শূন্য হাতে ফিরিয়েছে। এবার আমাদের মালদহের আম এবং আমসত্ত্ব দুটোই চাই।’ তারপর জেলার দুই–তৃতীয়াংশ বিধানসভা আসন মালদহবাসী উজাড় করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ঝুলিতে। তারপর এখানে আবার আসছেন প্রশাসনিক সভায়। তাই তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এই বিষয়েমোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়িক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের আমি নিজে আমন্ত্রিত রয়েছি। তবে কাকে আমন্ত্রণ করবে আর কাকে করবে না সেটা প্রশাসনের দায়িত্ব। এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। বিজেপি দল তাদের কাজই হচ্ছে সবসময় যে কোনও বিষয়ে বিরোধিতা করা। এরা কোন ভাল কাজ করে না। এরা সব সময় নেগেটিভ কাজ করে।’