বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Dilip Ghosh: ‘‌জমি ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল অমর্ত্য সেনের’‌, উপদেশ দিয়ে বিতর্কে দিলীপ ঘোষ

Dilip Ghosh: ‘‌জমি ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল অমর্ত্য সেনের’‌, উপদেশ দিয়ে বিতর্কে দিলীপ ঘোষ

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ

এই জমি নিয়ে বিবাদ চলছে দু’‌পক্ষের মধ্যে। সেখানে দিলীপ ঘোষের মতে, অমর্ত্য সেনের সম্পদের অভাব নেই। তাই অযথা বিতর্কে না জড়িয়ে, জমি ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল নোবেলজয়ীর। কিন্তু এখানে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ অমর্ত্য সেন যদি জমি ছেড়ে দেন তাহলে প্রমাণিত হবে সেটা তাঁর নয়। তিনি জোর করে দখলে রেখেছেন। 

শান্তিনিকেতনে প্রতীচীর জমি নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিবাদ চলছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের। চিঠি চালাচালি থেকে আইনি পদক্ষেপ পর্যন্ত গড়িয়েছে দু’‌পক্ষের বিবাদ। এমনকী এই নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বেলাগাম আক্রমণ সরগরম করে তুলেছে বিবাদকে। এই পরিস্থিতিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তাতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

ঠিক কী পরামর্শ দিলীপের?‌ এই জমি নিয়ে বিবাদ চলছে দু’‌পক্ষের মধ্যে। সেখানে দিলীপ ঘোষের মতে, অমর্ত্য সেনের সম্পদের অভাব নেই। তাই অযথা বিতর্কে না জড়িয়ে, জমি ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল নোবেলজয়ীর। কিন্তু এখানে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ অমর্ত্য সেন যদি জমি ছেড়ে দেন তাহলে প্রমাণিত হবে সেটা তাঁর নয়। তিনি জোর করে দখলে রেখেছেন। অথচ ওই জমি তাঁর বাবার বলে দাবি করে আসছেন অমর্ত্য। সেখানে এমন পরামর্শ কার্যত বেমানান। অর্থাৎ ঘুরপথে অমর্ত্য সেনকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মেনে নিতে বলা হচ্ছে।

ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?‌ আজ, বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে আছেন দিলীপ ঘোষ। এদিন সেখানে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন দিলীপ ঘোষ। খড়্গপুরে সাউথ ইনস্টিটিউট সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে বিজেপির কর্মী–সমর্থকদের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন তিনি। সেখানেই অমর্ত্য এবং বিশ্বভারতীর সংঘাত নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। আর বলেন, ‘‌অমর্ত্য সেন একজন এত বড় মানুষ। সামান্য কয়েক কাঠা জমি বিতর্কে পড়ার কোনও মানে ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় যখন নোটিশ দিয়েছে, তখন তাঁর ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল। তাহলেই কোনও বিতর্ক থাকত না। দু’‌চার কাঠা জমিতে ওঁর কী হবে? ওঁর সম্পদের অভাব নেই। অভাব নেই সম্মানেরও। ফালতু বিতর্কে জড়ালেন।’‌

আর কী বললেন বিজেপি নেতা?‌ ইতিমধ্যেই জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়ে অমর্ত্য সেনের হাতে জমির কাগজপত্রও তুলে দিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়েও রাজ্যেরই সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘‌এর মধ্যে রাজ্য সরকার ঢুকে পড়ে আরও বিতর্ক বাড়াচ্ছে। ওঁকে অপমান করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় তো তার জমি চাইবেই। কিন্তু সেটিকে বিতর্কিত করে ওঁর মতো মানুষকে আরও বেশি বদনাম করা হচ্ছে। ওঁকেও বলব, সময় আছে। বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা উচিত।’‌

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন