তৃণমূল কংগ্রেসকে উত্তরবঙ্গ থেকে ১৮টি আসন পাইয়ে দেওয়া হবে। পাহাড়ে ফিরেই এই ভাষাতেই হুংকার ছাড়লেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। সাড়ে তিন বছর পর প্রথম প্রকাশ্য জনসভায় এভাবেই তৃণমূলের পাশে থাকবেন বলে বার্তা দিলেন তিনি। সাড়ে তিন বছর তিনি গা–ঢাকা দিয়েছিলেন।
গুরুং জানান, বিজেপিকে সমর্থন করে ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জেতানো হয়েছিল। কিন্তু পৃথক গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে কথা রাখেনি বিজেপি সরকার। তাই আগামী বছর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে আসনগুলি তুলে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমরা বিধানসভা নির্বাচনে ১৭–১৮টি আসন জিতব। বিজেপি গোর্খাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আর ১২ বছর নষ্ট করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান দেবেন বলে কথা দিয়েছে।’ তাঁর অনুপস্থিতিতে এখানে সংগঠন বাড়িয়ে তোলেন বিনয় তামাং–অনিত থাপারা।
বিনয় তামাং অনিত থাপাদের খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বিমল বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে মিথ্যে কথা না বলে ১৮টি আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়ে দেখাক। একসময় যারা স্কুল থেকে ল্যাপটপ চুরি করতেন, তাঁরা এখন জিটিএ চালাচ্ছে।’
বিমলের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন কয়েকদিন আগেই পাহাড়ে ফেরা রোশন গিরিও। বিমল পাহাড়ে ফেরাতে অনেকেই আবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। যদিও বিনয়পন্থীরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা কোনওরকম অশান্তিতে যাবেন না। আগামী ২৬ ডিসেম্বর পালটা পরিবর্তন যাত্রার ডাক দিয়েছেন বিনয় তামাং। উদ্দেশ্য একটাই, কার পক্ষে বেশি সৈনিক রয়েছে তা জানান দেওয়া।
বিনয় তামাং বলেন, ‘মানুষ কাকে বিশ্বাস করে কার সঙ্গে কত সমর্থন আছে তা দুই একদিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ যদিও বিমলের পালটা দাবি, ‘১০ থেকে ১২ দিনের মাথায় তাঁরা জিটিএ ছেড়ে দেবেন। মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে বিজেপিকে যে কোনও মূল্যে হারাতে হবে।’ তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বিমলকে জিটিএ চেয়ারম্যান করবেন? উঠছে প্রশ্ন।