সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনের জন্য মডেল দরকার। এই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। আসলে এটা ছিল টোপ। এই টোপে পা দিয়ে গণধর্ষণের শিকার হলেন এক গৃহবধূ বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বর্ধমানের আউসগ্রামে। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর এলাকার বাসিন্দা ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ,শুক্রবার বর্ধমান জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূ বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেন মডেল হিসাবে কাজ করার জন্য। তখন তাঁকে বিজ্ঞাপন দেখে সংশ্লিষ্ট জায়গায় আসতে বলা হয়। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখে ৭ অগষ্ট আউসগ্রামের ভালকি মাচান রিসর্টে গিয়েছিলেন বিজ্ঞাপণের ফটোশুটের জন্য। তার কাজ হয়ে যাওয়ার পর ৫,১২০ টাকা পেমেন্ট দেওয়া হয়। তাই বিষয়টি সঠিক বলেই মনে করেছিলেন। এটা যে আসলে টোপ সেটা বুঝতে পারেননি। তারপর আবার সেখানে ডাকা হয় এবং তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।
তারপর ঠিক কী ঘটল? প্রথমবার পেমেন্ট দিয়ে ওই গৃহবধূর বিশ্বাস অর্জন করা হয়। তারপর অভিযোগ, আবার ১৭ অগস্ট তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় ভালকিতে। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে সেদিনও তিনি আসেন ওই রিসর্টে। কিন্তু কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে পাঠিয়ে জোর করে তাঁকে ধর্ষণ করে গোপাল মিশ্র ওরফে অরবিন্দ মিশ্র নামে এক যুবক। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, বিষয়টা জানাজানি করলে তাঁর স্বামীকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। ভয়ে তাঁরা তখন মুখ খোলেননি। সেই সুযোগটাই পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে পরে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরসঙ্গী হচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়! স্পেনের পথে মহারাজ
আর কী জানা যাচ্ছে? এরপর আবার ৩১ অগস্ট গুসকরার ওই রিসোর্টে গৃহবধূকে কাজের জন্য আসতে বলা হয়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে গোপাল মিশ্র ওরফে অরবিন্দ মিশ্র এবং বঙ্কিম ঘোষ ওরফে বণিক ঘোষ তাঁকে জোর করে লাগাতার গণধর্ষণ করে। অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। তখনই ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ স্বামীকে নিয়ে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’জন অভিযুক্তকে পুলিশ আউসগ্রাম এলাকায় তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। আজ, শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।