বহুদিন ধরেই বন্ধ ছিল স্কুলটি। সেই স্কুলটিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বর্ধমানের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর শাঁখারিপুকুর এলাকায়। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্থানীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ৩০ বছর ধরে বন্ধ অবস্থায় পড়েছিল স্কুলটি। এই আবহে সেবক সংঘের সদস্যরা স্কুলটিকে ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। এদিকে স্কুল ভাঙার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের ডিআই স্বপন দত্ত জানান, রিপোর্ট হাতে পেলে তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে এই বিষয়ে জানাবেন। তিনি জানান স্কুলটি সরকারি জমিতেই তৈরি করা হয়। তিনি মেনে নেন বিগত তিন দশক ধরে স্কুলটি বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়েই সংসদের তরফে লোক পাঠানো হয়েছিল এলাকায়। পুলিশও যায়। তবে ততক্ষণে স্কুলটি ভেঙে ফেলা হয়।’ এদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছনো স্কুল ইনস্পেকটর কিশোর কুমার দাস ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভগ্নদশায় স্কুলটি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ঠিকই। কিন্তু এভাবে তা ভেঙে ফেলা ঠিক হয়নি।’
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে সেবক সংঘের সভাপতি তমালকান্তি মণ্ডলের বক্তব্য, ‘পঞ্চাশ বছরের পুরনো বাড়ি। পাঁচ ইঞ্চি দেওয়াল দেওয়া টিনের চালের বাড়িটি ভগ্নদশায় কোনও রকমে দাঁড়িয়ে ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষকে আমরা বহুবার বাড়িটি ভেঙে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। পাশেই আমাদের খেলার মাঠ আছে। ওখানে অনেকেই খেলে। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্কুল কর্তৃপক্ষের লোকজনও বেশ কয়েকবার এখানে এসে দেখে গিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও স্কুলটি ওই অবস্থাতেই দাঁড়িয়ে ছিল। তবে স্কুলটি আমরা ভাঙিনি। আপনা আপনিই ভেঙে পড়েছে। আমরা আজ জায়গাটা সাফ করছিলাম।’