বিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে বরযাত্রী ভরতি অটোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হল বাসের। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অটো চালক, তিন শিশু-সহ ৪ জন বরযাত্রীর। ঘটনায় আরও ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। মুহূর্তের মধ্যে বিয়ের আনন্দ বদলে গিয়েছে বিষাদে।
শুক্রবার রাতে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ফলতা থানার ফতেপুর পেট্রোল পাম্পের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ফলতা থানার পুলিশ। আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘাতক বাস ও চালককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অটো চালক সুখেন্দু কয়াল, আকাশ মণ্ডল, রোহন মণ্ডল, প্রিয়ব্রত শিকদার, কৃষ্ণ মণ্ডল-সহ ৫ জনের। গুরুতর আহত হন বাকি যাত্রীরাও।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় ফলতার বঙ্গনগরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন দোস্তিপুরের মনসারহাট গ্রামের বরযাত্রীরা। তাঁরা একটি ডিজেল চালিত অটোতে বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ফতেপুরের কাছাকাছি আসতেই কলকাতার দিক থেকে আসা একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোতে ধাক্কা মারে। মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যায় অটোটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ শিশু-সহ ৫ জন বরযাত্রীর।
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। উদ্ধার কাজে হাত লাগান তাঁরা। আহতদের উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাদ বাকি ৬ জন আহতদের মধ্যে ৩ জনকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। এছাড়াও ডায়মন্ড হারবারে চিকিৎসা চলছে ৩ যাত্রীর।
ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) সন্দীপ সেন। আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান যুব নেতা জাহাঙ্গীর খান। আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি ঘটনায় মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। এছাড়াও মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন তিনি। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মনসারহাট গ্রামে।