শুভেন্দু অধিকারীর মুখে প্রথম শোনা গিয়েছিল তাঁদের নাম। চাকরি বিক্রিতে অভিযুক্ত সেই কালীপদ পতি ও নিত্যানন্দ দত্তের বাড়ির সামনে শনিবার বিক্ষোভ দেখালেন চাকরিপ্রার্থী ও তাঁদের পরিজনরা। অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েও চাকরি জোটেনি। উলটে কালীপদ পতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে ভয় দেখাচ্ছে থানা। এমনকী এদিন খবর সংগ্রহে থানায় গিয়ে পুলিশের হামলার মুখে পড়েন সাংবাদিকরা।
শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরের পারোই গ্রামে কালীপদ পতি ও নিত্যানন্দ দত্তের বাড়ির সামনে জড়ো হন কয়েকশ’ চাকরিপ্রার্থী। টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। যদিও কালীপদবাবুর বৃদ্ধা স্ত্রী ছাড়া তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০১৪ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে অন্তত ২০০০ বেকার যুবক যুবতীর থেকে কয়েকশ’ কোটি টাকা তুলেছেন কালীপদ পতি। এমনকী চাকরিপ্রার্থীদের প্রলোভন দেখাতে সাদা খাতা দেখিয়েছেন তিনি। কিন্তু গত প্রায় দেড় বছর ধরে তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই। যার ফলে ঘটি-বাটি বিক্রি করে চাকরির আশায় টাকা দেওয়া যুবক – যুবতীরা বেকায়দায় পড়েছেন।
এক বিক্ষোভকারী জানান, আমার ২ মেয়েকে রেলে চাকরি করে দেবে বলেছিল কালী পতি। সেজন্য সে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি মেয়েদের বিয়ের জন্য জমানো টাকা থেকে তাঁকে প্রথমে ৪ লক্ষ টাকা দিই। ২০১৮ সালে টাকা দিলেও আজ পর্যন্ত একটা মেয়েও চাকরি পায়নি।
এদিন মোহনপুর থানায় কালীপদ পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে যান চাকরিপ্রার্থীরা। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। এমনকী পালটা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশকর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ। সাংবাদিকদের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, এই দুর্নীতিতে যুক্ত হারু দত্ত, আরতি দত্ত, প্রণব নন্দী, শঙ্কু দে, বিজু বারিক, অরবিন্দ বেলজিও।
বলে রাখি, গত বছর জুলাইয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর কালীপদ পতিসহ এই অভিযুক্তদের নাম শোনা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। তার পর থেকেই পলাতক এদের প্রত্যেকে।