ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় তদন্তভার পাওয়ার পরেই তৎপর সিবিআই। এরইমধ্যে এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনে নাম জড়িয়েছিল ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের। তার একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পরেই তাকে থানা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই আইসি সঞ্জীব ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল সিবিআই। আজ সকাল ১০ টা নাগাদ সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেন ঝালদার আইসি সঞ্জীব ঘোষ। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, তাঁকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
ঝালদার কাউন্সিলর যেখানে খুন হয়েছিলেন তার খুব কাছেই নাকা পয়েন্ট ছিল পুলিশের। তারপরেও কেন সেখানকার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। সেক্ষেত্রে আইসির কোনও নির্দেশ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে চান সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। এছাড়া, অডিও ক্লিপ নিয়েও সঞ্জীব ঘোষের সঙ্গে কথা বলতে চায় সিবিআই। এই ঘটনায় তদন্তভার পাওয়ার পরেই সিবিআই সঞ্জীব ঘোষকে ডেকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু, প্রথম তলবে হাজিরা এড়িয়ে যান ঝালদার আইসি। আজ আবার তাকে ডেকে পাঠানো হয়।
এর পাশাপাশি এই খুনের ঘটনা একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তপন কান্দুর বাল্যবন্ধু নিরঞ্জন বৈষ্ণব। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে চাপ দেওয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। সূত্রের খবর, নিরঞ্জনের মৃত্যুর পর যে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে সেই সুইসাইড-নোট তার হাতের লেখা কি না তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। পাশাপাশি, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছে সিবিআই। সে ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজে পেতে আইসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। উল্লেখ্য, গতকালই এই ঘটনায় তপন কান্দুর ভাই নরেন কান্দুর ছায়াসঙ্গী পেশায় ব্যবসায়ী সত্যবান প্রামাণিককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।