ভোট পরবর্তী হিংসায় শ্যামনগরে বৃদ্ধা শোভারানি মণ্ডলের খুনে এক তৃণমূল কর্মীকে হেফাজতে নিল CBI. ধৃত রতন হালদার ভাটপাড়া পুরসভার অস্থায়ী সাফাইকর্মী। ধৃত রাহুতার নতুনপল্লির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
গত ২৮ অগাস্ট সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদল ও ফরেনসিক টিম তদন্তে রাহুতার বিআরএস কলোনিতে মৃতার বাড়িতে আসে। মৃতার বড় ছেলে তারক মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী সাবিত্রী দেবী, দুই মেয়ে ও এক জামাইকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ দেখিয়ে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। সূত্র বলছে, ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত রতন হালদার জেলে বন্দি ছিলেন। আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সিবিআই বৃহস্পতিবার রাতে জেল থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় রতন হালদারকে।
ধৃতকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়য ঘটনায় আর কারা জড়িত এবং এর পিছনে কাদের মদত ছিল তা জানতে চান গোয়েন্দারা। যদিও স্থানীয় বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বনাথ ঘোষের দাবি, ঘটনায় তৃণমূল কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে ফল ঘোষণার দিন অর্থাৎ ২ মে রাতে জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্রের ১৭১ নম্বর বুথ সভাপতি বিআরএস কলোনির বাসিন্দা কমল মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ওইদিন কমলবাবুসহ তাঁর স্ত্রী ও মাকে মারধোর করা হয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর মা শোভা রানী মন্ডলকে ( ৬৯) কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরদিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে জগবন্ধু ঘোষ ওরফে জগা, কৃষ্ণ দাস ওরফে কাঞ্চা, জগবন্ধুর স্ত্রী মৌ ঘোষ, ঝর্ণা মিস্ত্রি ও রতন হালদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তদন্তে নেমে জগদ্দল থানার পুলিশ জগবন্ধু ঘোষ ও কৃষ্ণ দাস নাম দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীকালে জগবন্ধু ও কৃষ্ণ জামিন পেয়ে যায়।