মঙ্গলকোট মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে গরু পাচারকাণ্ডে অবশ্য সিবিআইয়ের স্ক্যানারের নীচে এখনও কেষ্ট মণ্ডল। এবার অনুব্রত মণ্ডলের কালী প্রতিমার গয়নার উৎস নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, প্রতি বছর বহুমূল্য অলঙ্কারে সাজানো হত সেই কালী প্রতিমাকে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন কোথা থেকে আসত এত অলঙ্কার?
সূত্রের খবর, প্রায় ৫৭০ ভরি সোনার গয়না পরানো হত কালী প্রতিমাকে। সব মিলিয়ে সেই সোনার বাজার মূল্য হতে পারে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। এখানেই প্রশ্ন এত সোনা আসত কোথা থেকে?
তবে কি সম্পত্তির পাশাপাশি অবৈধ টাকায় কেনা হত প্রতিমার গয়না? সিবিআই এনিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে। দুজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী, কয়েকজন ব্যাঙ্ক কর্মীকেও এনিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। ওই দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিছু রসিদ চেয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।
মা তারার ভক্ত কেষ্ট মণ্ডল। জেলের মধ্যেও সেই তারা মায়ের আরাধনা করছেন তিনি। আর বীরভূমে দলের জেলা কার্যালয়ে প্রতিবছর একেবারে ধুমধাম করে দেবীর আরাধনা করা হত। সেখানে প্রতিমাকে যে গহনা প্রতি বছর পরানো হত তা দেখে চোখ কপালে উঠত স্থানীয়দের। একেবারে বহুমূল্য গয়না।
এমনকী কেষ্ট মণ্ডল নিজে হাতে মাকে গয়না পরাতেন। এমনকী বিধানসভা ভোটে যাতে তৃণমূল উতরে যায় সেকারণে মাঝেমধ্যেই মাকে ডাকতেন তিনি। আর ভোটে একের পর এক আসনে জয় হাসিল হতেই মাকে দেওয়া সোনার গহনা একলাফে বাড়িয়ে দেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সেই গয়না এল কোথা থেকে?