গাঁজা, অস্ত্রপাচারের অভিযোগে এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। এর আগে এই ঘটনায় ধৃত তিন দুষ্কৃতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম সামনে এসেছে। গাঁজা ও অস্ত্রপাচার চক্রের মূল পাণ্ডার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই সিভিক ভলেন্টিয়ারের। পুলিশ জানতে পেরেছে, এই সিভিক ভলেন্টিয়ারের তত্বাবধানেই গোটা চক্রটি চলত।
জানা গিয়েছে, ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম সাংকেত ঘোষ। তিনি বীরভূমের নানুর থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার। নানুর থানা এলাকার রামকৃষ্ণপুরে তাঁর বাড়ি। ধৃতের কাছ থেকে একটি মোটর বাইক আটক করা হয়েছে। এই নানুর থানা এলাকার সিতাই গ্রামে বাড়ি এই চক্রের মূল পাণ্ডা রাজু শেখের। এই রাজু শেখ মঙ্গলকোটের লাখুড়িয়ায় অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অসীম দাস খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। দিল্লি থেকে সিআইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। রাজু শেখ এখন বর্ধমান সংশোধানাগারে বন্দি। জেলে বসেই গাঁজা ও অস্ত্র পাচারের কারবার করত রাজু। এই রাজুর সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই যোগাযোগ ছিল সাংকেতের। জেলে থাকা অবস্থাতেও দু'জনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। সাংকেতের তত্বাবধানেই পুরো কারবার চলত। সাংকেতকে ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত বুধবার রাতে ২৪ কেজি গাঁজা, তিনটি আগ্রেয়াস্ত্র ও ১৩ রাউন্ড গুলি-সহ তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম টুনটুন কুমার, পিন্টু কুমার ও রাজেশ শেখ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সাংকেতের নাম সামনে আসে। পুলিশ জানতে পারে, গাঁজা ভরতি ব্যাগ মঙ্গলকোট সীমান্ত পর্যন্ত টুনটুন ও পিন্টুর কাছে পৌঁছে দিয়েছিল সাংকেতই। সাংকেতের তত্বাবধানেই বীরভূমের শান্তিনিকেতনে একটি লজে ঘাঁটি গেড়েছিল টুনটুন ও পিন্টু।